মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সরকারি জমি পরিমাপের সময় একটি গর্তে আটকে থাকা হুতোম প্যাঁচাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডানায় আঘাত পাওয়া পাখিটিকে চিকিৎসা দেওয়ার পর বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুলাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন গতকাল সোমবার আহত হুতোম প্যাঁচাটিকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, গতকাল সকালে তাঁর কার্যালয়ের পাশে একটি সরকারি জমি পরিমাপের সময় ছোট একটি গর্তে প্যাঁচাটি আটকে থাকতে দেখা যায়। কাছে গিয়ে দেখা যায়, পাখিটি জীবিত, তবে নড়াচড়া করতে পারছে না। পরে প্যাঁচাটিকে উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা প্যাঁচাটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা দেন।

শাহ জহুরুল হোসেন জানান, চিকিৎসার চার-পাঁচ ঘণ্টা পর প্যাঁচাটি সুস্থ হয়ে উঠে। কিন্তু, নিশাচর প্রাণী হওয়ায় সে স্থান ত্যাগ করতে পারছিল না। বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। সন্ধ্যার দিকে ওই দপ্তরের লোকজন এনে পাখিটি নিয়ে যান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিবাস চন্দ্র পাল বলেন, প্যাঁচাটি পূর্ণবয়স্ক। এটির বাঁ পাশের ডানায় শক্ত আঘাত লাগে। ব্যথানাশক ইনজেকশনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার পর এটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়।

এ বিষয়ে বন বিভাগের কুলাউড়ার ভাটেরা শাখা কার্যালয়ের বন প্রহরী মোতাহার হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার রাতভর বৃষ্টির কারণে প্যাঁচাটিকে তখনই বনে ছাড়া সম্ভব হয়নি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এটিকে অবমুক্ত করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে ৬ ভাড়াটিয়াকে ঘরে রেখে তালা দিলেন মালিক 

সুনামগঞ্জে বাসা ভাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় ভাড়াটিয়া একটি পরিবারকে ঘরের ভিতরে রেখেই তালা দিলেন মালিক ইউসুফ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে শহরের রায়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার বছর ধরে শহরের রায়পাড়া এলাকায় মাসে সাড়ে ৬ হাজার টাকায় একটি টিনের বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারের ৬ সদস্যসহ বসবাস করে আসছেন চানাচুর বিক্রেতা ইমন বর্মন। বাসা ভাড়া নেয়ার পর থেকে নিয়মিত মাসিক ভাড়া পরিশোধ করছেন তিনি। আর্থিক সমস্যার কারণে জুন মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। ভাড়া পরিশোধের সময় কয়েক তিন দিন অতিক্রান্ত হওয়ায় দুর্ব্যবহার করেন বাড়ির মালিক ইউসুফ চৌধুরী। সময় মতো ভাড়া পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করায় ভাড়াটিয়া ইমন, তার মা জবা বর্মনসহ ছয়জনকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। ভাড়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হবে জানিয়ে অন্যত্র চলে যান। 

এ ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ঘরে বন্দি অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বাচ্চু মিয়া বাসার মালিকের থেকে চাবি এনে তাদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। 

আরো পড়ুন:

যানজটমুক্ত ঢাকার স্বপ্ন: জুলাই থেকে নামছে ইলেকট্রিক বাস

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: হেলপার গ্রেপ্তার

ইমন বর্মন বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরে এই বাসায় ভাড়া থাকি। জুন মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে দেরি হওয়ার আমি, আমার মাসহ ৬ জনকে ঘরে রেখে তালা মেরে চলে যান বাড়ির মালিক।’’ তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

ঢাকা/মনোয়ার/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ