পদ্মায় বিলীন তিন গ্রাম, গৃহহীন ৭০০ পরিবারের অনিশ্চিত জীবন
Published: 15th, October 2025 GMT
পদ্মা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে বিলীন হয়ে যাওয়া বসতবাড়ির শেষ চিহ্ন খুঁজছিলেন মোসলেম শেখ (৬৫)। এক মাস আগে ২০ শতাংশ জমিসহ তাঁর বসতবাড়িটি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন সেটি শুধু স্মৃতি। হারিয়ে যাওয়া সেই স্মৃতি খুঁজতে তিনি প্রায়ই নদীর তীরে এসে দাঁড়ান, আর চোখের পানি ফেলেন।
জাজিরার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের আহম্মদ মাঝিকান্দি গ্রামে ছিল মোসলেম শেখের বাড়ি। শুধু তিনি নন, একই অবস্থা ওই ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের সাড়ে চার হাজার মানুষের। গত দুই বছরের ভাঙনে গ্রাম তিনটি এখন পদ্মার পানির নিচে। গৃহহীন হয়েছে ৭০০ পরিবার। দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সামাজিক অবকাঠামোগুলোও পদ্মায় বিলীন হয়েছে।
মোসলেম শেখ প্রথম আলোকে বলেন, কৃষিকাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। পদ্মা নদীতে তাদের গ্রামসহ তিনটি গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। বাপ-দাদার ভিটা হারিয়েছে। নদীর অপর পারে একটি জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন। ৭ সদস্যের পরিবার নিয়ে এখন বিপাকে আছেন তিনি। জীবনটাই অনিশ্চিত হয়ে গেছে তাঁর।
স্থানীয় সূত্র ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। ওই ইউনিয়নের ওপর দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। সেতু-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অবকাঠামোও রয়েছে সেখানে। ২০০৩ সালে পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে প্রথম বড় ভাঙন হয়। তখন পাইনপাড়া মৌজাটি পদ্মায় বিলীন হয়। পাঁচ বছর পর, ২০০৮ সালে পাইনপাড়া এলাকায় নতুন চর জেগে ওঠে। এর মাঝ দিয়েই তৈরি হয় পদ্মার নতুন একটি প্রবাহ। ২০১০ সালে ওই চরে মানুষ আবার বসতি গড়ে তোলে—আহম্মদ মাঝিকান্দি, মনসুর মোল্যাকান্দি ও আলীম উদ্দিন ব্যাপারীকান্দি নামে তিনটি গ্রাম গড়ে ওঠে। পরে গ্রাম তিনটির পশ্চিম প্রান্ত ঘেঁষে নির্মিত হয় পদ্মা সেতু।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) অধিগ্রহণ করা জমিতে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। সম্প্রতি তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ল ন হয়
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মায় বিলীন তিন গ্রাম, গৃহহীন ৭০০ পরিবারের অনিশ্চিত জীবন
পদ্মা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে বিলীন হয়ে যাওয়া বসতবাড়ির শেষ চিহ্ন খুঁজছিলেন মোসলেম শেখ (৬৫)। এক মাস আগে ২০ শতাংশ জমিসহ তাঁর বসতবাড়িটি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন সেটি শুধু স্মৃতি। হারিয়ে যাওয়া সেই স্মৃতি খুঁজতে তিনি প্রায়ই নদীর তীরে এসে দাঁড়ান, আর চোখের পানি ফেলেন।
জাজিরার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের আহম্মদ মাঝিকান্দি গ্রামে ছিল মোসলেম শেখের বাড়ি। শুধু তিনি নন, একই অবস্থা ওই ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের সাড়ে চার হাজার মানুষের। গত দুই বছরের ভাঙনে গ্রাম তিনটি এখন পদ্মার পানির নিচে। গৃহহীন হয়েছে ৭০০ পরিবার। দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সামাজিক অবকাঠামোগুলোও পদ্মায় বিলীন হয়েছে।
মোসলেম শেখ প্রথম আলোকে বলেন, কৃষিকাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। পদ্মা নদীতে তাদের গ্রামসহ তিনটি গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। বাপ-দাদার ভিটা হারিয়েছে। নদীর অপর পারে একটি জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন। ৭ সদস্যের পরিবার নিয়ে এখন বিপাকে আছেন তিনি। জীবনটাই অনিশ্চিত হয়ে গেছে তাঁর।
স্থানীয় সূত্র ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। ওই ইউনিয়নের ওপর দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। সেতু-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অবকাঠামোও রয়েছে সেখানে। ২০০৩ সালে পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে প্রথম বড় ভাঙন হয়। তখন পাইনপাড়া মৌজাটি পদ্মায় বিলীন হয়। পাঁচ বছর পর, ২০০৮ সালে পাইনপাড়া এলাকায় নতুন চর জেগে ওঠে। এর মাঝ দিয়েই তৈরি হয় পদ্মার নতুন একটি প্রবাহ। ২০১০ সালে ওই চরে মানুষ আবার বসতি গড়ে তোলে—আহম্মদ মাঝিকান্দি, মনসুর মোল্যাকান্দি ও আলীম উদ্দিন ব্যাপারীকান্দি নামে তিনটি গ্রাম গড়ে ওঠে। পরে গ্রাম তিনটির পশ্চিম প্রান্ত ঘেঁষে নির্মিত হয় পদ্মা সেতু।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) অধিগ্রহণ করা জমিতে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। সম্প্রতি তোলা