অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দিনাজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. দেলওয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলম মিয়া। 

আরো পড়ুন:

সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর, আইনজীবীর উপর হামলার চেষ্টা

মামলার বাদী আলম মিয়া বলেন, ‍“আসামি মো.

দেলওয়ার হোসেন দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত মোট ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন।”

তিনি বলেন, “মো. দেলওয়ার হোসেনের নামে দিনাজপুর জেলার বালুবাড়িতে ৫ তলা বাড়ি, ঢাকার ধানমন্ডিতে ২০৭০ এবং ২৭৪৬ বর্গফুটের ২টি ফ্ল্যাট এবং কার পার্কিং, ঢাকার মোহাম্মদপুরে ১৪০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং কার পার্কিং, স্বপ্নপুরী বিনোদন পার্কের ৫০ শতাংশ মালিকানা, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ, বিরামপুর ও হাকিমপুরে নিজ ও সন্তানদের নামে ২৮.৫০ একর জমি। এসবের মূল্য ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৫২ হাজার ১৪৫ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ব্যবসার মূলধন, আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যাংক স্থিতি ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯৯ টাকা। মোট সম্পদ ১৪ কোটি ১৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৪ টাকা। যেখানে দায়/ঋণ বাদে নীট সম্পদ ১৩ কোটি ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৭ টাকা। আয় ও ব্যয়ের তুলনা গ্রহণযোগ্য আয় ৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ৯৩৬ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ২ কোটি ৬১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৭৪ টাকা। মোট ব্যয় ও সম্পদ অর্জন: ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬১ টাকা। ফলাফল হিসেবে প্রমাণিত হয় যে, ৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত এবং এর কোনো বৈধ উৎস অনুসন্ধান করা যায়নি।”

তিনি আরো বলেন, “এ কারণে মো. দেলওয়ার হোসেনের বিরুদ্ধ দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা রুজুর অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে দুদক প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ লওয় র হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

দাবি আদায়ে দুপুর পর্যন্ত সময় দিলেন এমপিও শিক্ষকরা 

তিন দফা দাবিতে বুধবার চতুর্থ দিনের মতো ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দুপুরের মধ্যে দাবি না মানলে পূর্ব ঘোষিত শাহবাগ মোড় ব্লকেড করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, দাবি আদায়ে শিক্ষাকরা ‘২০ পার্সেন্ট বাড়ি ভাড়া, দিতে হবে দিয়ে দাও’, ‘অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন, দিতে হবে দিয়ে দাও’, ‘১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, দিতে হবে দিয়ে দাও’ শিক্ষকদের ওপর হামলা কেন, বিচার চাইসহ নানা স্লোগান দেন।  

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “দাবি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য দুপুর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। দুপুরের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করব।” 

এর আগে গতকাল বিকেলে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাইকোর্ট মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে সেখানেই অবস্থান নেন তারা। সেখান থেকে রাতে নতুন কর্মসূচির কথা জানান শিক্ষকনেতা দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাঁরা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও সংহতি জানান।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বাকি দুটি দাবি হলো শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ