চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মুহাম্মদ তানিম (২৫)। আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার চৌধুরীহাট বাজারের দাতারাম সড়কে ছুরিকাঘাতে তিনি আহত তানিম। তিনি এ সময় হাটহাজারীর চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অপু দাশের (৩০) সঙ্গে ছিলেন। ছুরিকাঘাতে রাতেই অপুর মৃত্যু হয়।

তানিমের মৃত্যুর বিষয়টি হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মুহাম্মদ তারেক আজিজ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজ সকাল নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে চৌধুরীহাট বাজারে একদল যুবকের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ ও তানিম আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক অপু দাশকে মৃত ঘোষণা করেন। ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিমের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ তারেক আজিজ আরও বলেন, তানিমের পেটে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেন দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে অপুর গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তানিম হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা। তানিম ও অপুকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় রাতে আফসার উদ্দিন নামের এক তরুণকে পুলিশ আটক করেছে। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার সদরের পানখালী এলাকায়। তবে তিনি হাটহাজারীর চৌধুরীহাটের সুজন কলোনিতে থাকেন।

আরও পড়ুনহাটহাজারীতে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতিকে হত্যা১২ ঘণ্টা আগে

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আফসার অংশ নিয়েছেন। এ সময় তিনি নিজেও জখম হন। এ ঘটনায় মামলার পর আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় হাতকড়া খুলে পালালেন আসামি

নরসিংদীতে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়েছেন এক আসামি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জেলার আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। রায়পুরা থানায় দায়ের করা একটি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার প্রধান আসামি তিনি।

ওই আসামির নাম সাগর (৩২)। তিনি রায়পুরা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার ফিরোজ মিয়ার ছেলে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, ২০২৩ সালের ডাকাতির প্রস্তুতির একটি মামলার প্রধান আসামি সাগর। গত সোমবার রাতে রায়পুরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে তাঁকে নরসিংদী আদালতে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার সাগরকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন ইসলামের আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অন্য আসামিদের সঙ্গে তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। এ সময় কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যান সাগর।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সাইরুল ইসলাম জানান, এর আগে ওই মামলায় তিন দফায় জামিন পেয়েছিলেন সাগর। জামিনে গিয়ে হাজিরা দিতে আসতেন না। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এবার জামিনের আবেদনও করেননি তিনি, কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যান। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ