‘ফ্লাইং জোনে’ স্কুল হয় কীভাবে, প্রশ্ন নগর পরিকল্পনাবিদদের
Published: 25th, July 2025 GMT
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের ইনার অ্যাপ্রোচ এলাকার পাশে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবস্থান নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ কথা উল্লেখ করে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সব ভবন রাজউক ও সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কিনা সেটি খতিয়ে দেখা জরুরি।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা: জননিরাপত্তা এবং উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় ও করণীয়’ শিরোনামে ওই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, “১৯৯৫ সালে প্রণীত ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা ডিএমডিপি এবং ২০০৮-০৯ সালের প্রথম বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী, মাইলস্টোন স্কুলের অংশটি জলাধার ছিল। যা বহাল রাখার বিষয়ে নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা পরিবর্তন হয়ে প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।”
আরো পড়ুন:
কুয়েটের উপাচার্য বুয়েট অধ্যাপক মাকসুদ
রাবিতে কোটায় ভর্তির জন্য ক্লাস শুরুর তারিখ পিছিয়েছে
মেহেদী আহসান বলেন, “এই স্থাপনা নির্মাণে অবশ্যই রাজউকের অনুমোদন লাগে। তাই রাজউক দায় এড়াতে পারে না। পাশাপাশি সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি ছাড়া রাজউক এখানে অনুমোদন দিতে পারে না। বিমানবন্দরের রানওয়ের টেক অফ এবং ল্যান্ডিংয়ের অ্যাপ্রোচ জোনে মাইলস্টোন স্কুল হওয়ার ঘটনা সিভিল অ্যাভিয়েশন ও রাজউকের সমন্বয়হীনতা প্রকাশ করে।”
বিআইপির সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “জলাভূমি হওয়া স্বত্বেও রাজউক কার স্বার্থে, কোন উদ্দেশ্যে ডিএমডিপি অনুসরণ না করে ‘ফ্লাইং অ্যাপ্রোচ জোনে’ নগর উন্নয়নের অনুমোদন দিচ্ছে? মাইলস্টোনের সব ভবন রাজউক ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের অনুমোদিত কিনা সেটি খতিয়ে দেখা জরুরি।”
আদিল মুহাম্মদ খান আরো বলেন, “দেশের জনবহুল কোনো এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ার সুযোগ নেই। নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিমান উড্ডয়নের পথ সবসময় নিরাপদ রাখতে হয়। উন্নত বিশ্বে বিমানবন্দর শহর থেকে তুলনামূলক দূরে এবং শহর ও বিমানবন্দরের মাঝে বাফার জোন থাকে। ঢাকায় উড়োজাহাজের ফ্লাইং অ্যাপ্রোচ জোন বাদ দিয়ে নগরায়ন করা উচিত ছিল।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিআইপির সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আমিন, কোষাধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দীন হাসান, বোর্ড সদস্য আবু নাঈম সোহাগ প্রমুখ।
বিআইপি গবেষণা দলের একটি মূল্যায়ন তুলে ধরেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তামজিদুল ইসলাম।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ইলস ট ন স ক ল র অন ম দ ব আইপ র জউক
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।