বার্সেলোনায় চার গোলকিপার, খেলানোর মতো মাত্র একজন
Published: 25th, July 2025 GMT
বার্সেলোনা স্কোয়াডে থাকা চার গোলরক্ষক হলেন টের-স্টেগেন, শেজনি, পেনা ও গার্সিয়া। কিন্তু এই চারজনের মধ্যে লা লিগায় খেলার জন্য নিবন্ধিত শুধু পেনা।
লা লিগার নতুন মৌসুম শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ১৬ আগস্ট মায়োর্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বার্সেলোনা। কিন্তু এর আগে অপ্রত্যাশিত এক সমস্যায় পড়েছেন বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক—তাঁর দলে চারজন গোলকিপার, কিন্তু খেলানোর মতো অবস্থায় আছেন আপাতত শুধু একজন!
এই মৌসুমে বার্সেলোনা স্কোয়াডে থাকা চার গোলরক্ষক হলেন মার্ক-আন্দ্রে টের-স্টেগেন, ভয়চেক শেজনি, ইনাকি পেনা ও নতুন আসা জোয়ান গার্সিয়া। কিন্তু এই চারজনের মধ্যে লা লিগায় খেলার জন্য নিবন্ধিত শুধু ইনাকি পেনা।
আরও পড়ুনভারতের কোচ হতে জাভির আবেদন, খারিজ করে দিয়েছে ফেডারেশন৯ ঘণ্টা আগেটের-স্টেগেন আপাতত মাঠের বাইরে। দীর্ঘদিন ধরেই কোমরের নিচের অংশে ব্যথায় ভুগছেন তিনি। আগামী সপ্তাহেই তাঁর অস্ত্রোপচার করানো হবে, এটা নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনাই। অন্যদিকে শেজনি ও গার্সিয়া এখনো লিগে নিবন্ধিত নন। কারণ, লা লিগার বেতন-সীমা (স্যালারি ক্যাপ) নীতি মেনে তাঁদের নিবন্ধনই করাতে পারছে না বার্সা।
চোটের কারণে মাঠের বাইরে টের-স্টেগেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন বন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ