বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শফী রহমান। আজ শনিবার লেখক শিবিরের দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন শেষে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।

প্রথম অধিবেশনের শুরুতে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনের ওপর উপস্থিত প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন। বরকত আলী, অজিত রায়, আবিদুল ইসলাম, বরকত উল্লাহ, মিনহাজ আহমেদ, হুমায়ুন কবির, নাজমুল আলম, ফয়জুল হাকিম, খালেদ উদ্দিন, সত্যজিৎ আচার্য ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনা শেষে কেন্দ্রীয় কমিটির খসড়া প্রস্তাব ও তার ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এরপর নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। বর্ষা বিশ্বাস ও হেমন্ত দাশের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’

গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ