সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে জাতীয় সংসদের আসনসংখ্যা ৪০০–এ উন্নীত করে ১০০ আসনে সরাসরি ভোটে নারী সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত করার সুপারিশ করা হয়েছিল। বর্তমান আইন অনুযায়ী, বাকি ৩০০ আসনে নারী–পুরুষনির্বিশেষে সবাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

এই প্রস্তাব পুরোপুরি নতুন, তা–ও বলা যাবে না। মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন নারী সংগঠন সংসদের নারী আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি ভোটের দাবি জানিয়ে আসছিল। বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোও এই দাবির পক্ষে ছিল। এই প্রেক্ষাপটে সংবিধান সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সংকীর্ণ মনোভাব ও একগুঁয়েমির কারণে সেই প্রস্তাব চূড়ান্ত রূপ নিতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলো নারীর আসনসংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সহমত পোষণ করলেও নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে একমত হতে পারেনি।

বর্তমানে ৩০০ আসন নিয়ে জাতীয় সংসদ এবং প্রতিটির নির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারিত। ১০০ আসন বাড়াতে হলে নতুন করে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। বিএনপিসহ বেশ কিছু দল সীমানা নির্ধারণ সময়সাপেক্ষ বলে এর বিরোধিতা করেছে এবং পর্যায়ক্রমে আসন বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমান পদ্ধতিতে নারী আসন বাড়ালেও নারীর ক্ষমতায়ন হবে, তার নিশ্চয়তা নেই।

এরশাদের শাসনামলে সংসদের নারী আসনকে ‘৩০ সেট অলংকার’ হিসেবে ঠাট্টা করা হতো; বর্তমানে নারী আসন ৫০–এ উন্নীত হলেও পরিস্থিতির ইতরবিশেষ হয়নি। ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রাখা ও পর্যায়ক্রমে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর কথা বলেছে কমিশন। এটা খুবই অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাব বলে মনে হয়।

বাংলাদেশে তিন দশকের বেশি সময় ধরে নারী নেতৃত্ব দেশ শাসন করলেও রাষ্ট্র পরিচালনার ‘পুরুষতান্ত্রিক’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি। সাবেক দুই নারী প্রধানমন্ত্রীর কেউই নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করেননি। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্ব পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ছিল সীমাহীন উদাসীনতা।

এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের কমিটিতে এক–তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্বের যে বাধ্যবাধকতা জারি করেছিল, সেটাও কেউ মান্য করেনি। সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন দলও আছে, যারা নারী নেতৃত্বের ঘোর বিরোধী। কিন্তু যেসব দল নারী নেতৃত্বের পক্ষের বলে দাবি করে, তারাও কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর কোনো কার্যকর
উদ্যোগ নেয়নি।

এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের ফলাফল অত্যন্ত হতাশাজনক। নারী সংগঠন ও অধিকারকর্মীরা শনিবার এক সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁদের দাবি, নারীদের বাদ দিয়ে নারীর অধিকারবিষয়ক প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ অবশ্য কমিশনের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর আমরা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারি না।’ তাঁর এই যুক্তি মেনে নিলেও কমিশনের বৈঠকের ফলাফল মেনে নেওয়া যায় না। আমরা কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে বাদ দিয়ে কিংবা প্রতীকী অংশগ্রহণ রেখে গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করা যাবে না।

সবশেষে বলব, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংসদে নারীর আসন ও নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে যে উপসংহারে এল, তা কোনোভাবে গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ব পর য য় আসন ব

এছাড়াও পড়ুন:

নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ

জাতীয় সংসদে নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নারী অধিকারকর্মীরা। কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে তাঁরা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোনো সুপারিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গ্রহণ করেনি। নারী অধিকারকর্মীদের দেওয়া প্রস্তাবও উপেক্ষা করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় নারী অধিকারের বিষয়টি সবচেয়ে কম গুরুত্ব পেয়েছে।

‘নারীকে বাদ দিয়ে নারীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নারী অধিকারকর্মীরা এ কথাগুলো বলেন। আজ শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘গণসাক্ষরতা অভিযান ও সকল সহযোগী সংগঠন’–এর ব্যানারে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, নারী অধিকারকর্মী ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বাড়িয়ে সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচন করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ঐকমত্য কমিশন এই সুপারিশ গ্রহণ করেনি। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী নারী হলেও ঐকমত্য কমিশনে নারীর কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। কমিশন নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। তারা শুধু রাজনৈতিক দলের কথায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সংসদে নারীদের জন্য আসন বাড়িয়ে ১০০ করে সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছিল নারীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করে ৩০০টি আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত রেখে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছিল। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর গত বৃহস্পতিবার ঐকমত্য কমিশন জানায়, বেশির ভাগ দল ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (আপত্তি) জানিয়েছে। তাই সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৫০ রাখা এবং তাতে নারী সদস্যদের মনোনীত করার আগের পদ্ধতি বহাল রাখে কমিশন।

সভায় সূচনা বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে নারী প্রতিনিধি কোথায়? ঐকমত্য কমিশনে যাঁরা আছেন, তাঁরা কি নারীবিদ্বেষী ধরে নেব? তাঁরা নারীর পক্ষে কাজ করবেন, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করবেন, সেটা ভেবে সহ্য করেছি। ধৈর্য ধরে দেখতে চেয়েছি কী সিদ্ধান্ত আসে। তাঁরা আমাদের শুধু হতাশই করেননি, আমরা একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৫১ শতাংশ নারী। আমরা কথা বলব। আমাদের, নারীদের কথা শুনতে হবে।’

সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক। কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ জমা দেওয়ার পর এ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও কমিশনের সদস্যদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। বলেন, তাঁরা আলোচনা–সমালোচনা, তর্ক–বিতর্ককে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কারণ, বাক্স্বাধীনতা সবার আছে। তাই বলে গালিগালাজ করার স্বাধীনতা কারও নেই।

শিরীন পারভিন হক বলেন, জাতীয় সংসদে এখন সমান হিস্যা চাওয়ার সময় এসেছে। এক–তৃতীয়াংশ আসন দিয়ে আর হবে না। আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করে অন্তত পরবর্তী দুই মেয়াদে নারীদের জন্য ৩০০ সংরক্ষিত আসন রেখে সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

গত এপ্রিলে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় উল্লেখ করে সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতান বলেন, তখন তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছিলেন, সুপারিশগুলো আমলে নেওয়ার জন্য ঐকমত্য কমিশনকে পাঠাবেন। পরে শোনা গেল, ঐকমত্য কমিশনের টার্মস অব রেফারেন্স (কাজের পরিধি বা টর) নির্ধারিত। ওই টরের মধ্যে তাঁরা নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন না। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় নারী অধিকার বিষয়টি সবচেয়ে কম গুরুত্ব পেয়েছে। ভোটার হিসেবে নারীদের মূল্যায়ন করা হয়নি।

ঐকমত্য কমিশন যেসব দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে, সেসব দল নারীর প্রতিনিধিত্ব করে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন–এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। তিনি বলেন, ‘অনেক দলকে আমরা চিনি না। তারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করে, তা আমরা জানি না। তবে এটা জানি যে তারা অন্তত নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। এত ভালো ভালো সুপারিশ করেছিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন, কিন্তু সেসব সুপারিশ সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হবে। তাহলে কি তাঁর কথার মূল্য নেই?’

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, দেশে এখন নারীবিরোধী ‘জাগরণ’ দেখা যাচ্ছে। নারীর পোশাক নিয়ে কথা হয়। ‘মব সন্ত্রাসে’র (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ) মাধ্যমে নারীকে অপদস্থ করা হয়। নারী আসন নিয়ে নারীদের সুপারিশই মানা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অবস্থায় নারীরা ঐকমত্য কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করছে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরে নারীবিরোধী যে অবস্থানকে লালন করা হচ্ছে, সেটা বন্ধ করতে হবে।’

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী নতুন বন্দোবস্তের দায়িত্ব যাঁরা নিয়েছিলেন, তাঁদের চিন্তাচেতনা ও মানসপটে নারী অনুপস্থিত।

নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবীর বলেন, সরকার কমিশনগুলো গঠন করেছে অলংকার হিসেবে। ঐকমত্য কমিশন যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে, তাদের কারা নির্বাচিত করেছে ও তাদের আদর্শ কী, সে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পরিবর্তনের জন্য সবাই জুলাইয়ে পথে নেমেছিল। মুষ্টিমেয় চলে এসেছে সামনে। বাকিরা সংগঠিত হয়নি। তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি মঞ্চের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে যেতে হবে।

নারীপক্ষ-এর সভানেত্রী গীতা দাস বলেন, যেটুকু সামনে এগিয়েছিল নারী, তা থেকে শতভাগ পেছনে নিয়ে যাচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। নারীদের বাদ দিয়ে সংস্কার হলে আগামী নির্বাচনে নারীরা ভোট দেবেন না।

ঐকমত্য কমিশনের কাছে কিছু দাবি সভায় তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। দাবিগুলো দু-এক দিনের মধ্যে ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ফেরদৌসী সুলতানা, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মি, সিএসও অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধি সাঈদ আহমেদ, ক্যাথলিক এডুকেশন বোর্ডের সেক্রেটারি জ্যোতি এফ গমেজ, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উপপরিচালক নাসরিন বেগম, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ‘জুলাই কন্যা’ শাহ্‌জাদী ফানান্না, ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের শিক্ষার্থী ‘জুলাই কন্যা’ সামান্তা করিম ও গৃহশ্রমিক কোহিনূর আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমার দাশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে আনা হবে ছাত্র-জনতাকে, আট জোড়া ট্রেন ভাড়া করল সরকার
  • সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন
  • ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে গতি আনতে চায় কমিশন
  • রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র আর বেশিদিন টিকবে না
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ ও এক্সিকিউটিভ এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ
  • আজ বন্ধু দিবস
  • ঐকমত্য হয়েছে বেশ কিছু মৌলিক সংস্কারে
  • এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে
  • নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ