বন্দরে ২ নারী মাদক কারবারিসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 5th, August 2025 GMT
বন্দরে ১০৯ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ইয়াবা বিক্রি নগদ ১৫ হাজার ৭৮০ টাকাসহ ২ নারী মাদক কারবারিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিরা হলো বন্দর থানার মাহামুদনগর এলাকার মৃত নাসির উদ্দিন মিয়ার ২ মেয়ে নিঝুম (২৬) ও জেরিন (২৪) একই থানার সোনাকান্দা বেপারীপাড়া এলাকার সোবহান মিয়ার ছেলে নয়ন (২২) ও মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ী ঘাট এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে রাজু (২৩)।
ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও মাদক বিক্রি নগদ টাকা জব্দের ঘটনায় বন্দর থানার উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যার মামলা নং- ৬(৮)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতদের উল্লেখিত মামলায় মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টায় বন্দর থানার মাহামুদনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামী নিঝুমের বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ইয়াবাসহ এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত রক ত
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেন-অটোরিকশার সংঘর্ষে যেভাবে বেঁচে গেল সাড়ে তিন বছরের আতাউল্লাহ
একসঙ্গে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের সবাই ছিলেন শোকে কাতর। এরই মধ্যে হঠাৎ রাতে ফিরে এল এক শিশু। দুর্ঘটনায় তারও মৃত্যু হয়েছে বলে ভেবেছিলেন সবাই। শিশুটির অপ্রত্যাশিত এই বেঁচে যাওয়া শত শোকের মধ্যে যেন সান্ত্বনার পরশ পরিবারটির কাছে।
কক্সবাজারের রামুর রশিদনগর রেলক্রসিংয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এক পরিবারের চারজনসহ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছিল গতকাল শনিবার দুর্ঘটনার পর। হতাহত ব্যক্তিদের স্বজনেরাও এক পরিবারের চারজনসহ পাঁচজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছিলেন। মৃতদের তালিকায় নাম ছিল সাড়ে তিন বছর বয়সের আতাউল্লাহরও। কিন্তু রাতে আতাউল্লাহকে নানাবাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যান শিশুটি যে মাদ্রাসায় পড়ে, সেখানকারই কেউ একজন। নানা জাফর আলম তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ভেবেছিলেন দুই মেয়ে, নাতিদের কেউই বেঁচে নেই। আতাউল্লাহর এই ফিরে আসা তাই তাঁর কাছে ছিল অবিশ্বাস্য।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীর সাবেক পাড়ায় জাফর আলমের বাড়ি। শনিবার দুপুরে সেখান থেকেই জাফর তাঁর দুই মেয়ে ও দুই নাতিকে বিদায় দিয়েছিলেন। ভারুয়াখালী থেকে তাঁরা ঈদগাঁও উপজেলার মেহেরঘোনায় যাচ্ছিলেন। সেখানে জাফরের বড় মেয়ে আসমাউল হোসনার শ্বশুরবাড়ি। মেয়ে ও নাতিদের বিদায় দেওয়ার আধঘণ্টা পরই জাফর দুর্ঘটনার কথা জানতে পারেন। দুর্ঘটনাস্থল রশিদনগরে ছুটে গিয়ে দেখেন খণ্ড খণ্ড হয়ে যাওয়া দেহাবশেষ। অটোরিকশায় থাকা দুই মেয়ে ও দুই নাতি-নাতনির সবাই মারা গেছে বলে ভেবেছিলেন তখন। কিন্তু আতাউল্লাহর ফিরে আসার পর জানতে পারলেন, বেঁচে আছে তাঁর নাতি।
কিন্তু কীভাবে বেঁচে গেল আতাউল্লাহ? আজ রোববার সকালে মুঠোফোনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাফর আলম। তিনি বলেন, অটোরিকশায় ঈদগাঁওয়ের মেহেরঘোনায় রওনা দেন তাঁর দুই মেয়ে আসমাউল হোসনা (২৭) ও রেণু আরা আক্তার (১৩) এবং আসমার সাড়ে তিন বছরের ছেলে আতাউল্লাহ ও দেড় বছরের ছেলে আশেক উল্লাহ। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন, কেউই বেঁচে নেই। মারা গেছেন অটোরিকশাচালক হাবিব উল্লাহও (৫০)।
কক্সবাজারের রামুতে ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই মেয়ে ও এক নাতিকে হারিয়ে আহাজারি করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাফর আলম। গতকাল বিকালে রামুর রশিদনগরে