ডলার কিনে বিনিময়ে দিতেন জাল টাকা, ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার জাল নোটসহ দুজন গ্রেপ্তার
Published: 6th, August 2025 GMT
ক্রিপ্টোকারেন্সি (ডিজিটাল বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা) এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম বিন্যান্সের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে ডলার কেনার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার জাল নোট, ২২ হাজার নগদ টাকা এবং দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আরও দুজন পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তার দুজন হলেন রুবেল আহম্মেদ (৩৮) ও তাপস বাড়ৈ (৩০)। এই চারজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার গুলশান থানা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, গুলশান-২ এলাকায় কয়েক ব্যক্তি বিন্যান্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডলার কিনতে জাল টাকাসহ অবস্থান করছেন। এই খবরের ভিত্তিতে গুলশান থানার একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালিয়ে রুবেল আহম্মেদকে ২৬ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। পরে রুবেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে গুলশানের একটি আবাসিক হোটেল থেকে আরও ৮৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। ওই হোটেল থেকে এই চক্রের এক সদস্য তাপস বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে নগদ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাক্সিম গোর্কির আবাসস্থলে
মস্কোর আকাশে আজ মেঘ ঘনিয়েছে। সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। এমনিতে গরমকাল, তবে বৃষ্টি পড়ার কারণে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসছে। মস্কোতে আমার দিনগুলো উড়ে উড়ে পার হয়ে যাচ্ছে। অল্প দিন হাতে আছে রাশিয়ায়। এর মাঝে কত কিছু যে দেখার বাকি!
আমি এসেছিলাম আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বাড়িতে। রাশিয়ার বিখ্যাত এই লেখক পাঁচবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েও পুরস্কার জেতেননি। এমন অসামান্য লেখকের প্রাসাদতুল্য বাড়ির সামনে এসে দেখি দুয়ার তালাবদ্ধ। আজ আর দুয়ার খুলবে না। দোতলা এই বাড়িটিতে লেখক জীবনের শেষ কয়েক বছর বসবাস করেছিলেন। বাড়ির সামনে প্রশস্ত আঙিনা। সেখানে উঁচু উঁচু গাছ অন্য পাশ থেকে বাড়িকে ঢেকে দিয়েছে। বাড়ির চারপাশ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা।
প্রাচীন এই বাড়ির আশপাশে ঘুরেফিরে আবার ফিরে গেলাম। আজ তিনি দুয়ার না খুললে কাল নিশ্চয়ই খুলবেন। রাশিয়ার অন্যান্য বিখ্যাত লেখকের বাড়ির মতো তাঁর বাড়িটিকেও মিউজিয়াম করে রাখা হয়েছে। ঊনবিংশ শতকে রাশিয়ায় জনপ্রিয়তা পেলেও আমাদের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তিনি আজ অবধি সবচেয়ে জনপ্রিয় রুশ লেখক।
আগের দিন লেখকের হাউস মিউজিয়াম বন্ধ ছিল। তাই দুয়ার থেকে ফিরে যেতে হয়েছিল। কিন্তু আমি হচ্ছি বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী ধরনের মানুষ। এত সহজে এ বাড়ি না দেখে আমি মস্কো ছাড়ব না।
আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বয়স যখন চব্বিশ তখন এক পত্রিকায় লেখা পাঠানোর সময় আলেক্সেই লেখকের নামে নিজের নাম লেখেন ‘ম্যাক্সিম গোর্কি’। রুশ ভাষায় ম্যাক্সিম শব্দের অর্থ—তিক্ত। জীবনের কঠিন বাস্তবতা আর তিক্ততার স্বাদ অল্প বয়সে গ্রহণ করায় তিক্ত নামেই পরবর্তীকালে তিনি বিখ্যাত হয়েছেন।আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভ ১৮৬৮ সালে রাশিয়ার নিঝনি নভোগরদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। এগারো বছর বয়সে অনাথ হয়ে যাওয়ার পর দিদিমা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাখেন। কিন্তু বারো বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালান। এরপর বছর পাঁচেক রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ান। কখনো পেট চালানোর জন্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কাজ করতে হয়েছে। পথেই থাকতে হয়েছে। এ সময়ে আলেক্সেই মুচির কাজও করেছিলেন।
ম্যাক্সিম গোর্কির বাড়ি