বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে মসজিদের ইমামদের সঙ্গে ডেসকোর মতবিনিময়
Published: 7th, August 2025 GMT
সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটির মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)। এর মাধ্যমে বিদ্যুতের অপচয় রোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকার মহাখালীর একটি কনভেনশন হলে আজ বৃহস্পতিবার এই সভার আয়োজন করা হয়।
ডেসকো থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় অংশ নিয়ে ডেসকোর চেয়ারম্যান ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের (পিপিপি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের মতো ৫০০ মানুষকে জানানো মানে, আপনার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ৫ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছানো।’
ডেসকোর চেয়ারম্যান বলেন, মসজিদের ইমাম, খতিব সাহেবদের সমাজের ওপর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। শুক্রবারে খুতবার সময় বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক কথা বলা হলে মানুষ তা আমলে নিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উৎসাহিত ও সচেতন হবেন। তিনি আরও বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতে প্রচুর ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, হাসপাতাল এমন অনেক জরুরি কাজে অর্থ প্রয়োজন। বিদ্যুৎ অপচয় না করলে সরকারের খরচ কমবে, যা অন্যান্য জরুরি কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।
মতবিনিময় সভায় মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং বিভিন্ন মসজিদ কমিটির প্রতিনিধিরা মতামত ব্যক্ত করেন। বনানী সেন্ট্রাল জামে মসজিদের ইমাম মো.
আমন্ত্রিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ। তিনি পবিত্র কোরআন শরিফের একটি আয়াত তরজমা করে সবাইকে অপচয় থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান। তিনি সবাইকে সচেতন হতে এবং নিজ নিজ এলাকার বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে উৎসাহী করার জন্য অনুরোধ করেন। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়গুলো প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
‘মেরিনার কাজে প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়’
স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল বলেছেন, ‘মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।’
সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার পান মেরিনা তাবাশ্যুম। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্যাপন করতে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নাহাস আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচারের চেয়ারপারসন জয়নব ফারুকি আলী বলেছেন, ‘স্থাপত্য মানুষের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কী অসাধারণভাবে মিশে যায়, মেরিনা তাবাশ্যুম সেটার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর ঢাকার দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদে। ২০১৬ সালে যখন মসজিদটির উদ্বোধনে যাই, তখন মসজিদটির মোয়াজ্জিনের কাছে জানতে চাই, এ মসজিদের কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে। মোয়াজ্জিন বলেছিলেন, “আমার এখান থেকে আজান দিতে ভালো লাগে।”’
মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল।গতকাল ‘বিটুইন ইরোজন অ্যান্ড ইমার্জেন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আর্কিকানেক্টের সহযোগিতায় সিরামিক বাংলাদেশ ম্যাগাজিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্কিকানেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্থপতি জালাল আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম বলেন, ‘মসজিদের প্রকল্পটি ছিল ব্যক্তিগত। নানির দান করা জায়গায় ২০০৬ সালে এ মসজিদটির ডিজাইন শুরু করি। এটিকে শুধু মসজিদ হিসেবে না দেখে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যুক্ত করে মোর দ্যান মস্ক (মসজিদের চেয়েও বেশি কিছু) হিসেবে দেখার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠান কথা বলছেন স্থাপতি মেরিনা তাবাশ্যুম