বেগম আকতার কামাল আরও বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের পরিবেশভাবনার আলোকে আমরা এখনো আমাদের সমাজ ও দেশের পরিবেশকে বিশুদ্ধ, নিরাপদ এবং মানুষের বসবাসযোগ্য করে তুলতে পারি। সবশেষে মানবের জয়ই ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব রচনার মূল বক্তব্য।’

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান হাবিব বলেন, ‘নববর্ষ’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ উদ্ভিদ ও প্রাণিচিন্তার সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের কথা মিলিয়েছেন। একই সঙ্গে মানুষের দায়ের চেতনাকে রবীন্দ্রনাথ কীভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন, সেসব প্রসঙ্গে আলোচনা করেন এ আলোচক।

কবি ও লেখক মাহবুব হাসান বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ যদি এই সময়ের সভ্যতার সংকট নিয়ে লিখতেন, তবে তাঁর রচনায় এমন আরও অনেক প্রসঙ্গ উঠে আসত, যা তখন অনুপস্থিত ছিল।’

স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সচিব মো.

সেলিম রেজা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে বাংলা কবিতার বিশ্বজয় হয়। রবীন্দ্রনাথের কবিতার প্রধান চেতনা অসাম্প্রদায়িকতা ও বিশ্বমানবতা বোধ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের কবিতা-গান মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণা ছিল।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে আলোচনা ও চর্চা অনবরত হচ্ছে। আজকের প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের পরিবেশ-প্রসঙ্গকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমাদের মনে রাখতে হবে, রবীন্দ্রনাথ কোনো বিষয়েই নির্দিষ্টতাবাদী নন বরং সর্বতোবাদী। ফলে পরিবেশের প্রসঙ্গ যখন আসে, তখন শুধু গাছপালা বা জলবায়ুর কথাই আসে না; বরং দার্শনিকভাবে তা আরও বৃহৎ বিষয়কে ধারণ করে। রবীন্দ্রচিন্তায় পরিবেশকে সম্যকভাবে বুঝতে তাঁর এ–সংক্রান্ত প্রবন্ধ থেকে শুরু করে কবিতা-গান-কথাসাহিত্যের মতো সৃজনশীল সৃষ্টির কাছেও আমাদের যেতে হবে।’

আলোচনা শেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পর ব শ প রসঙ গ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট: ৬ দপ্তর ও বেলার কাছে নথি চেয়েছে দুদক

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।

আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ