চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন এলাকায় একটি দোকান নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ফটকে তালা দেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।

মারধরের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন জুবায়ের আহমেদ ও মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম। তাঁরা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আহত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুবায়ের ও আতিকুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন–সংলগ্ন স্থানে একটি দোকান নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা এসে তাঁদের দোকান নির্মাণে বাধা দেন। ওই বাসিন্দারা দাবি করেন, রেলওয়ের জায়গাটি তাঁরা ইজারা নিয়েছেন, দোকান নির্মাণ করলে তাঁদের টাকা দিতে হবে। তবে ওই দুই শিক্ষার্থী অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে জায়গাটি দোকানের জন্য ভাড়া নিয়েছেন জানান। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের তর্কাতর্কি-হাতাহাতি হয়। এর একপর্যায়ে মারধরে জুবায়ের ও আতিকুল আহত হন।

আরও পড়ুনদোকানের দখল নিতে যুবলীগের হামলা, দফায় দফায় সংঘর্ষ২১ অক্টোবর ২০২৪

জানতে চাইলে শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা দোকান তৈরির কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে জায়গাটি নিজেদের দাবি করে তাঁদের কাছে ৩০ হাজার টাকা চান। টাকা না দেওয়ায় তাঁকে ও তাঁর বন্ধু জুবায়েরকে হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। জুবায়েরের অবস্থা গুরুতর।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাঈদা আখতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আহত একজনের নাক দিয়ে অতিরিক্ত রক্তপাত হচ্ছিল, তাই তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রধর র

এছাড়াও পড়ুন:

কোচ গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচের আগে যা জানতে পারেন

রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই ম্যাচেই কোচ হিসেবে এক অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন পেপ গার্দিওলা—এটাই হবে তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ।

২০০৭ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের দায়িত্ব নিয়ে কোচিং শুরু করেছিলেন গার্দিওলা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি পরিচালনা করেছেন ৯৯৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে জয় এসেছে ৭১৫টিতে, হার মাত্র ১২৮টিতে।

বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে কোচ হিসেবে গার্দিওলা জিতেছেন ১২টি লিগ শিরোপা ও ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। এ ছাড়া তাঁর গৌরবময় ক্যারিয়ারে আছে আরও ১৪টি ঘরোয়া কাপ শিরোপা।

আরও পড়ুনরেকর্ড গড়ার পর গার্দিওলা বললেন, ‘ফার্গুসন–ওয়েঙ্গারকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানাব’০৬ অক্টোবর ২০২৫

বিবিসি স্পোর্ট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কত ম্যাচ জিতেছেন, জানেন কি না। গার্দিওলা হেসে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই জানি, অনেক। সংখ্যাগুলো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি সংখ্যাগুলো নিয়ে ভাবি না। কিন্তু যখন এমন মাইলফলক আসে এবং আমি করেছি তা লেখা হয়, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগেও—তখন বোঝা যায় বার্সেলোনা, বায়ার্ন আর এখানেও অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি।’

গার্দিওলা আরও বলেন, ‘এমন স্তরে পৌঁছানো খুব কঠিন। যদি আবার শুরু করতাম, হয়তো কখনোই এত দূর যেতে পারতাম না। এটা অনেক বড় পথ। প্রায় ১০০০ ম্যাচের মধ্যে অল্প কিছু ম্যাচে হেরেছি। আশা করি, রোববারও আমরা জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারব।’

গার্দিওলার এই মাইলফলককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ক্যারিয়ারে দুই হাজারের বেশি ম্যাচ পরিচালনা করা ফার্গুসন বলেছেন, ‘পেপ! আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাকে লিগ ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) হল অব ফেমের ১০০০ ক্লাবে স্বাগত জানানোর সুযোগ পাচ্ছি।

খেলার প্রতি আপনার ভালোবাসা ও আবেগ সব সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আপনি যেভাবে বিশ্বের ফুটবলে অবিস্মরণীয় প্রভাব রেখে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আপনার গর্বিত হওয়া উচিত। ১০০০টি ম্যাচে পৌঁছানো এবং ফুটবলে এমন দীর্ঘস্থায়িত্ব অর্জন করা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ