দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয়দের মারধর, প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা
Published: 8th, August 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন এলাকায় একটি দোকান নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ফটকে তালা দেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
মারধরের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন জুবায়ের আহমেদ ও মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম। তাঁরা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আহত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুবায়ের ও আতিকুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন–সংলগ্ন স্থানে একটি দোকান নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা এসে তাঁদের দোকান নির্মাণে বাধা দেন। ওই বাসিন্দারা দাবি করেন, রেলওয়ের জায়গাটি তাঁরা ইজারা নিয়েছেন, দোকান নির্মাণ করলে তাঁদের টাকা দিতে হবে। তবে ওই দুই শিক্ষার্থী অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে জায়গাটি দোকানের জন্য ভাড়া নিয়েছেন জানান। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের তর্কাতর্কি-হাতাহাতি হয়। এর একপর্যায়ে মারধরে জুবায়ের ও আতিকুল আহত হন।
আরও পড়ুনদোকানের দখল নিতে যুবলীগের হামলা, দফায় দফায় সংঘর্ষ২১ অক্টোবর ২০২৪জানতে চাইলে শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা দোকান তৈরির কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে জায়গাটি নিজেদের দাবি করে তাঁদের কাছে ৩০ হাজার টাকা চান। টাকা না দেওয়ায় তাঁকে ও তাঁর বন্ধু জুবায়েরকে হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। জুবায়েরের অবস্থা গুরুতর।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাঈদা আখতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আহত একজনের নাক দিয়ে অতিরিক্ত রক্তপাত হচ্ছিল, তাই তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম রধর র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে বরিশালের সড়কে জুমার নামাজ আদায়
‘এই মুহূর্তে দরকার সারা দেশের স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংস্কার’ এই স্লোগানে দ্বাদশ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। তারা জুমার নামাজ সড়কে আদায় করেছেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদের গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাতায়াতকারীরা।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, “বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসলে প্রতিটি ক্ষেত্রে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। প্রথমে রোগী নিয়ে আসার পর ট্রলি আনতে গেলে দিতে হয় ১০০ টাকা, নার্সদের দিতে হয় ১০০ টাকা, সিস্টারদের দিতে হয় ১০০ টাকা, আয়াকেও দিতে হয় ১০০ টাকা। রাত ১০টার পরে হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না।”
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে টিটিসি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
৭১ এর গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ
“জরুরি বিভাগেরও একই অবস্থা। মাঝে মধ্যে জরুরি বিভাগে ডাক্তার পাওয়া গেলেও তাদের অবহেলায় রোগী ও তাদের স্বজনদের সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মূলত ইর্ন্টান চিকিৎসকদের ওপর ভরসা করে চলছে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা”, যোগ করেন তিনি।
মহিউদ্দিন রনি বলেন, “চিকিৎসকদের অবহেলায় প্রায় প্রতিনিয়ত রোগীদের প্রাণহানী ঘটছে। তেমনি হাসপাতালের স্টাফদের অর্থ বাণিজ্যের কারণে রোগীর স্বজনদের পকেট খালি হচ্ছে। এ অবস্থা দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের। এ কারণে স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের ভোগান্তি ও হয়রানির প্রতিবাদে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।”
আন্দোলকারীদের দাবি, স্বাস্থ্যখাতে বৈষম্য চলবে না, সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, শেবাচিমে জনদুর্ভোগ বন্ধ করতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/শিপন/মাসুদ