কোরমা-পাস্তায় বিষ দিয়ে তিন দফায় স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন এরিন
Published: 8th, August 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক সময়ে দণ্ডিত আলোচিত ‘মাশরুম খুনি’ এরিন প্যাটারসনের বিরুদ্ধে নতুন করে ভয়াবহ অভিযোগ সামনে এসেছে। তিনি তাঁর স্বামী সায়মন প্যাটারসনকেও বোলোনেজ পাস্তা ও চিকেন কোরমা কারির সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
আজ শুক্রবার আদালতের গোপনীয়তা নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর এ তথ্য জানা গেছে।
এরিন প্যাটারসন নামের ওই গৃহবধূ ২০২৩ সালের জুলাইয়ে পারিবারিক আয়োজনে দুপুরের খাবার তৈরি করেন। খাওয়ার সময় ছিল হাসিঠাট্টা আর প্রার্থনা। কিন্তু এই খাবার খেয়ে কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর স্বামীর মা–বাবা ও বৃদ্ধ খালার মৃত্যু হয়।
স্বামীর মা–বাবা ও খালাকে প্রাণঘাতী বিষাক্ত ডেথ ক্যাপ মাশরুম মিশিয়ে গরুর মাংসের ওয়েলিংটন খাইয়ে হত্যা করার মামলায় ওই মাসেই দোষী সাব্যস্ত হন এই অস্ট্রেলীয় নারী।
খাবার পরিবেশনের আগে এরিনের আচরণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ তোলা হলেও তাঁকে ‘ন্যায়বিচার’ পাওয়ার সুযোগ দিতে সেসব জুরি বোর্ডের সামনে উপস্থাপন করা হয়নি।
তবে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্রিস্টোফার বিয়েল এসব অভিযোগ গোপন রাখার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এরিন তিনবার তাঁর কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া স্বামী সায়মনকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিচারের সময় এই অভিযোগের বিষয়ে শোনা যায়নি।
নতুন প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, এরিন একাধিকবার সায়মনকে বিষ মেশানো বোলোনেজ পাস্তা, চিকেন কারি ও সবজি পরিবেশন করেছেন।
গত বছরের অক্টোবরে এক প্রাক্বিচার শুনানিতে সায়মন বলেছিলেন, এরিন তাঁকে নিজ হাতে রান্না করা কয়েক পদের তরকারি খাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
গোপন সাক্ষ্যে সায়মন বলেন, ‘আমার মনে আছে, এরিন বলেছিলেন যে এই তরকারির স্বাদ নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, ভবিষ্যতে আমাদের স্বাদ অনুযায়ী তরকারি রান্না করা।’
২০২২ সালে এক ক্যাম্পিং ট্রিপে এরিনের পরিবেশন করা হালকা চিকেন কোরমা খাওয়ার পর সায়মন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সায়মন বলেন, প্রথমে খুব গরম লাগছিল, বিশেষ করে মাথায়। তারপর বমি বমি ভাব হচ্ছিল। হঠাৎ করে বমি করতে হয়েছিল।
এ ঘটনার পর সায়মন কোমায় চলে যান। তাঁকে বাঁচাতে অন্ত্রের একটি অংশ অপসারণে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল।
পরে চিকিৎসক ক্রিস্টোফার ফোর্ডকে সায়মন বলেন, তাঁর সন্দেহ হচ্ছে, এরিন ইচ্ছাকৃত তাঁকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করছেন।
গত বছর প্রাক্বিচার শুনানিতে চিকিৎসক ক্রিস্টোফার ফোর্ড বলেন, একবার সায়মনকে এরিন ঘরে তৈরি কুকিজ পাঠান। সায়মন কুকিগুলো খেতে ভয় পাচ্ছিলেন। কারণ, তিনি সন্দেহ করছিলেন যে এতে বিষ থাকতে পারে। তাঁদের ভ্রমণের সময় এরিন একাধিকবার ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি কুকিগুলো খেয়েছেন কি না।
এরপর যখন সায়মনের মা-বাবা ও আত্মীয় এরিনের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন সায়মন নিজের পরিবারকে আগের এই সন্দেহের কথা জানান।
সায়মনের এক স্বজন রুথ ডুবোয়া আদালতে বলেন, ‘সায়মন বলতে চেয়েছিলেন, তাঁর আগের অসুস্থতাগুলো সম্ভবত এমন কোনো কারণেই হয়েছিল। এই আশঙ্কা তিনি করেছিলেন। তিনি আমাদের বলেছিলেন, এরিনের রান্না করা খাবার খাওয়া তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি খুব অনুতপ্ত ছিলেন যে আমাদের আগে এসব কিছু বলেননি।’
এরিনের বিচার শুরুর আগেই প্রসিকিউটররা এসব অভিযোগ বাতিল করে দেন। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে গণমাধ্যমও কোনো খবর প্রকাশ করতে পারেনি।
আরও পড়ুনমাশরুম খাইয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় অস্ট্রেলীয় নারী আদালতে দোষী সাব্যস্ত০৭ জুলাই ২০২৫প্রাণঘাতী ছত্রাক২০২৩ সালের জুলাই মাসে এরিন একটি ঘরোয়া মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন, যেখানে শুরুটা হয় প্রার্থনা ও হাস্যরসের মাধ্যমে। কিন্তু শেষ হয় তিনজনের মৃত্যু দিয়ে।
১২ সদস্যের একটি জুরিবোর্ড সায়মনের মা–বাবা ডন ও গেইল প্যাটারসন এবং তাঁর খালা হিদার উইলকিনসনকে হত্যার অভিযোগে ৫০ বছর বয়সী এরিনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
এ ছাড়া এরিনকে হিদারের স্বামী ইয়ান উইলকিনসনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ইয়ান একজন খ্যাতনামা ব্যাপ্টিস্ট যাজক।
সায়মনকেও একই মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তিনি অস্বস্তি বোধ করায় যাননি।
এরিনের বিচার নিয়ে শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, গোটা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়। নিউইয়র্ক থেকে শুরু করে নয়াদিল্লি পর্যন্ত বহু সংবাদমাধ্যম এই ‘মাশরুম মার্ডার’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ট্রু-ক্রাইম পডকাস্টার ও ডকুমেন্টারি নির্মাতারা ভিড় করেন ভিক্টোরিয়ার ছোট্ট শহর মরওয়েলে।
দীর্ঘ দুই মাস বিচার চলাকালে এরিন বারবার দাবি করেন, বিফ ওয়েলিংটন রান্না ও পেস্ট্রিতে ‘ভুল করে’ বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছত্রাক ডেথ ক্যাপ মাশরুম পড়ে গিয়েছিল।
ডেথ ক্যাপ মাশরুম দেখতে নিরীহ হলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত ছত্রাক হিসেবে পরিচিত। অনেক সময় এটিকে খাওয়ার উপযোগী মাশরুমের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যায়। এতে একধরনের মিষ্টি স্বাদ থাকে, যা এর ভয়ংকর বিষাক্ততাকে আড়াল করে রাখে।
এরিন প্যাটারসন ২৫ আগস্ট আদালতে হাজির হবেন। বিচারে তাঁর সাজা কত দীর্ঘ হবে, সেদিন সে বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সাজা ঘোষণার ২৮ দিনের মধ্যে এরিনের আইনজীবীরা তাঁর সাজা ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত য র চ ষ ট ন প য ট রসন কর ছ ল ন র স য়মন হয় ছ ল এর ন র
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টা শুল্ক ও এনবিআরে কর্মবিরতির কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ১২%
বিদায়ী ২০২৪–২৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিক এপ্রিল–জুনে দেশ থেকে ৯১১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি তার আগের জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকের তুলনায় ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিকে দায়ী করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে।
তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, গত এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাত বেশ কিছু গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে ছিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন, যা ওই প্রান্তিকের রপ্তানি দক্ষতাকে দুর্বল করে দেয়। নীতিগত পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ (পরে কমে হয়েছে ২০ শতাংশ) পাল্টা শুল্ক আরোপ। তখন পর্যন্ত সেটি কার্যকর না হলেও তা ক্রয়াদেশ স্থগিত ও অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
মার্কিন প্রশাসন গত ৩১ জুলাই অন্য অনেক দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশি পণ্যেও পাল্টা শুল্কের হার সংশোধন করে। এবারে বাংলাদেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক কমে ২০ শতাংশ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে। তাতে বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। কারণ, এ বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগী ভিয়েতনামের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতের ওপর পাল্টা শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আর চীনের শুল্ক এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআরের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়, যা পণ্যের চালান প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। সময়মতো পণ্য পাঠানোকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করে। এদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিস্থিতি, দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন ব্যয় ও রপ্তানি বাজারের বৈচিত্র্যহীনতা ইত্যাদি কারণে রপ্তানির গতি শ্লথ হয়ে পড়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়, যা পণ্যের চালান প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। এতে পণ্য পাঠানো ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। আবার বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিস্থিতি, উৎপাদন ব্যয় ও বাজারের বৈচিত্র্যহীনতা রপ্তানির গতি শ্লথ করে দেয়।গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে প্রায় দুই মাস আন্দোলন করেন। ২৮ ও ২৯ জুন সারা দেশে কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা। এরপর ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এরপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে এনবিআর কর্তৃপক্ষ। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণে আন্তমন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মূল্য সংযোজন কমেছেবিদায়ী ২০২৪–২৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন কিছুটা কমেছে। এই প্রান্তিকে দেশ থেকে মোট ৯১১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে ৩৯৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল আমদানি হয়। তার মানে মূল্য সংযোজন দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তার আগের প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ছিল ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, পোশাক রপ্তানি থেকে তুলা, সুতা, কাপড় ও সরঞ্জামের আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে নিট রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার অনেকে প্রকৃত রপ্তানি আয়কে পোশাক খাতের মূল্য সংযোজন হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।
গত ২০২২–২৩ ও ২০২৩–২৪ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দেখিয়েছিল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তখন রপ্তানির পাশাপাশি মূল্য সংযোজনও কৃত্রিমভাবে বেড়ে গিয়েছিল। পরিসংখ্যানের গরমিলের বিষয়টি গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সামনে আনে। এরপর রপ্তানির পরিসংখ্যান সংশোধন হয়। তাতে গত দুই অর্থবছরের সাত প্রান্তিকে পোশাক খাতে মূল্য সংযোজন কমে যায়।
রপ্তানি আয় বাড়িয়ে দেখানোর কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর–ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন একলাফে ৫৯ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তারপরের পাঁচ প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন আরও বেড়ে ৭০ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে ছিল। যদিও সংশোধনের পর দেখা যায়, ওই অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে ৬২ শতাংশে নেমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে সাড়ে ৫৭ থেকে সাড়ে ৬১ শতাংশ হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই–সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন ছিল ৫৭ শতাংশ। পরের প্রান্তিকে, অর্থাৎ অক্টোবর–ডিসেম্বরে সেটি বেড়ে ৬১ শতাংশে উন্নীত হয়। তারপরের দুই প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে হয় যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ৯০ ও ৫৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।