ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে মধ্যরাতে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। শুক্রবার রাত ১২টার পর হলগুলোতে এই বিক্ষোভ হয়। মাস্টারদা সূর্য সেন হল, মুহসীন হল, রোকেয়া হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা ‘হল পলিটিকসের ঠিকানা/এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘আবু সাঈদ, মুগ্ধ/শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

হলে কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদে দুই দফায় বিক্ষোভ করেন রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। বিকেলে কমিটি বাতিলের জন্য রাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে রাতে আবার বিক্ষোভ করেন তাঁরা। রাত ১২টার পরও তাঁদের বিক্ষোভ চলছিল।

বিক্ষোভকারী রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিয়ে চারটি দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো:

১.

রোকেয়া হলকে প্রকাশ্য ও গুপ্ত—সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচিত হল সংসদ কমিটি ব্যতীত কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হলভিত্তিক কমিটি ঘোষণা করলে তাদের আবাসিক সিট বাতিল করতে হবে।

২. ছাত্রদল, বাগছাস, শিবির, ছাত্রী সংস্থা, ছাত্রলীগসহ (নিষিদ্ধ) অন্য সব ক্রিয়াশীল সংগঠন কোনো রকম গোপন কমিটি দিতে পারবে না। প্রমাণসাপেক্ষে তাদের সিট বাতিল করাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩. ১৭ জুলাইয়ের স্মারকলিপিতে স্মারক নম্বর বসিয়ে আইনি ভিত্তি রচনা করতে হবে।
৪. প্রভোস্ট, হাউস টিউটর, কর্মচারীসহ হল কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মেয়েদের সহযোগিতা করার প্রমাণ পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।

এ ছাড়া সুফিয়া কামাল হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীরাও হলে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

এর আগে গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হল র শ ক ষ র থ র ব ক ষ ভ কর ছ ত রদল র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

তীব্র অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু

ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।

শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, জুলাই মাসে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, এটিই এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক শিশুর অনাহারে থাকার ঘটনা।

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস

সম্পর্কিত নিবন্ধ