ঢাকার মহাখালী আমতলী ফ্লাইওভারের ডিভাইডারের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় অজ্ঞাত (৪৫) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো একজন আহত হয়েছেন। 

শনিবার (৯ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পথচারীরা আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পথচারী বিলাল হোসেন জানান, মধ্যরাতে বেপরোয়া গতিতে একটি প্রাইভেটকার মহাখালী আমতলী ফ্লাইওভার ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে প্রাইভেটকারের একটি অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। আহত একজনকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকারটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ ১২-৪০৪২। 

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, মহাখালী থেকে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তিকে ঢামেকে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

ঢাকা/বুলবুল/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমতলী থানা চত্বর থেকে জব্দ করা জাটকা লুট, জিডি করল পুলিশ

নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে জব্দ করা জাটকা ইলিশ বরগুনার আমতলী থানা থেকে লুট হয়েছে। গতকাল বেলা তিনটার দিকে এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সাগর ও নদীতে জাটকা ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে; কিন্তু তালতলী, কলাপাড়া ও আমতলী উপজেলার কয়েকজন জেলে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবাধে জাটকা ইলিশ শিকার করেছেন। এসব ইলিশ গতকাল দুপুরে চারটি গাড়িতে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌবাহিনীর সদস্য ও উপজেলা মৎস্য অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় হাজার কেজি জাটকা জব্দ করে। পরে জব্দ করা জাটকা আমতলী থানায় রাখা হয়। গতকাল বিকেলে এসব মাছ স্থানীয় ৫০টি এতিমখানায় বিতরণ করা হচ্ছিল। ওই সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ দুই শতাধিক মানুষ থানা চত্বরে ঢুকে মাছগুলো লুট করে নেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, পুলিশের সামনে জাটকা ইলিশ লুট হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রাজনৈতিক দলের লোকজন মাছ লুট করেছেন। উপজেলা প্রশাসন সঠিকভাবে মাছ বিতরণ করলে এমন হতো না। তাদের গাফিলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার রাতেও জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়; কিন্তু উপজেলা প্রশাসন পরিবহন গাড়ি ও জব্দ করা মাছের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। ফলে থানায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী গাজী নাসির উদ্দিন বলেন, পুলিশের সামনে থেকে জব্দ করা জাটকা ইলিশ লুট হওয়া খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। উপজেলা প্রশাসন সঠিকভাবে মাছ বণ্টন করলে এমন হতো না।

লুটের আগে জব্দ করা ইলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমতলী থানা চত্বর থেকে জব্দ করা জাটকা লুট, জিডি করল পুলিশ