প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‍“গত নির্বাচনে যে সব প্রিজাডিং অফিসার ভোট গ্রহণে সমস্যা তৈরি করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সিস্টেমের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে, তাই তাদের কেন্দ্র নিয়ে আসাই একটা বড় চ‍্যালেঞ্জ।”

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “নির্বাচন কাঠামো, এই খাতে ব্যাপক জনবল সব কিছু গুছিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে কমিশন।” তিনি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল: ইসি সানাউল্লাহ

নীতিমালা সংশোধনে ইসিকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম সাংবাদিকদের

সিইসি বলেন, “নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা আগামী নির্বাচনে কারো পক্ষে ও বিপক্ষে কাজ করবে না। দেশের ১৮ কোটি মানুষের হয়ে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যেই কাজ করবে।”

এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিভ্রান্ত মোকাবিলার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।”

নাগরিকদের উদ্দেশ্য এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “ভোট দেওয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব; তেমনি ইমানি দায়িত্ব। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন‍্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।”

সভায় অন্যদের মধ্যে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ এই বিভাগের প্রত্যেকটি জেলার নির্বাচনী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস ইস ইস

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাক্সিম গোর্কির আবাসস্থলে

মস্কোর আকাশে আজ মেঘ ঘনিয়েছে। সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। এমনিতে গরমকাল, তবে বৃষ্টি পড়ার কারণে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসছে। মস্কোতে আমার দিনগুলো উড়ে উড়ে পার হয়ে যাচ্ছে। অল্প দিন হাতে আছে রাশিয়ায়। এর মাঝে কত কিছু যে দেখার বাকি!

আমি এসেছিলাম আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বাড়িতে। রাশিয়ার বিখ্যাত এই লেখক পাঁচবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েও পুরস্কার জেতেননি। এমন অসামান্য লেখকের প্রাসাদতুল্য বাড়ির সামনে এসে দেখি দুয়ার তালাবদ্ধ। আজ আর দুয়ার খুলবে না। দোতলা এই বাড়িটিতে লেখক জীবনের শেষ কয়েক বছর বসবাস করেছিলেন। বাড়ির সামনে প্রশস্ত আঙিনা। সেখানে উঁচু উঁচু গাছ অন্য পাশ থেকে বাড়িকে ঢেকে দিয়েছে। বাড়ির চারপাশ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা।

প্রাচীন এই বাড়ির আশপাশে ঘুরেফিরে আবার ফিরে গেলাম। আজ তিনি দুয়ার না খুললে কাল নিশ্চয়ই খুলবেন। রাশিয়ার অন্যান্য বিখ্যাত লেখকের বাড়ির মতো তাঁর বাড়িটিকেও মিউজিয়াম করে রাখা হয়েছে। ঊনবিংশ শতকে রাশিয়ায় জনপ্রিয়তা পেলেও আমাদের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তিনি আজ অবধি সবচেয়ে জনপ্রিয় রুশ লেখক।

আগের দিন লেখকের হাউস মিউজিয়াম বন্ধ ছিল। তাই দুয়ার থেকে ফিরে যেতে হয়েছিল। কিন্তু আমি হচ্ছি বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী ধরনের মানুষ। এত সহজে এ বাড়ি না দেখে আমি মস্কো ছাড়ব না।

আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বয়স যখন চব্বিশ তখন এক পত্রিকায় লেখা পাঠানোর সময় আলেক্সেই লেখকের নামে নিজের নাম লেখেন ‘ম্যাক্সিম গোর্কি’। রুশ ভাষায় ম্যাক্সিম শব্দের অর্থ—তিক্ত। জীবনের কঠিন বাস্তবতা আর তিক্ততার স্বাদ অল্প বয়সে গ্রহণ করায় তিক্ত নামেই পরবর্তীকালে তিনি বিখ্যাত হয়েছেন।

আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভ ১৮৬৮ সালে রাশিয়ার নিঝনি নভোগরদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। এগারো বছর বয়সে অনাথ হয়ে যাওয়ার পর দিদিমা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাখেন। কিন্তু বারো বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালান। এরপর বছর পাঁচেক রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ান। কখনো পেট চালানোর জন্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কাজ করতে হয়েছে। পথেই থাকতে হয়েছে। এ সময়ে আলেক্সেই মুচির কাজও করেছিলেন।

ম্যাক্সিম গোর্কির বাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ