মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসাই বড় চ্যালেঞ্জ: সিইসি
Published: 9th, August 2025 GMT
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “গত নির্বাচনে যে সব প্রিজাডিং অফিসার ভোট গ্রহণে সমস্যা তৈরি করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সিস্টেমের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে, তাই তাদের কেন্দ্র নিয়ে আসাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ।”
শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “নির্বাচন কাঠামো, এই খাতে ব্যাপক জনবল সব কিছু গুছিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে কমিশন।” তিনি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল: ইসি সানাউল্লাহ
নীতিমালা সংশোধনে ইসিকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম সাংবাদিকদের
সিইসি বলেন, “নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা আগামী নির্বাচনে কারো পক্ষে ও বিপক্ষে কাজ করবে না। দেশের ১৮ কোটি মানুষের হয়ে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যেই কাজ করবে।”
এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিভ্রান্ত মোকাবিলার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।”
নাগরিকদের উদ্দেশ্য এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “ভোট দেওয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব; তেমনি ইমানি দায়িত্ব। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।”
সভায় অন্যদের মধ্যে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ এই বিভাগের প্রত্যেকটি জেলার নির্বাচনী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস ইস ইস
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জে জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ খামারবাড়ি'র আয়োজনে ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আ.জা.মু. আহসান শহীদ সরকার'র সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঢাকা'র মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা'র অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. জাকির হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (প্রশাসন ও অর্থ উইং) খামারবাড়ি ঢাকা'র উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মুরাদুল হাসান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা'র ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল কাইয়ুম মজুমদার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জহিরুল হক'র সঞ্চালনায় সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা'র সিনিয়র মনিটরিং অফিসার ড. মোছাঃ শারমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদা হাসনাত।
সভায় জেলার বীজ প্রত্যয়ন অফিসের কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালক, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, ৫ উপজেলার কৃষি অফিসার, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, জেলা কৃষি বিপনন অফিসের কর্মকর্তা, উপসহকারি পরিচালক, বিএডিসি, সাংবাদিকবৃন্দ ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৫জন উদ্যোগক্তা এবং কৃষিপন্য রপ্তানিকারক অংশগ্রহণ করেন।
প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্যেশ্য হলো-মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী, স্থানীয় গ্রহণযোগ্য ফসলের শস্যবিন্যাস ভিত্তিক নিবিড় ও চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, খাদ্য ঘাটতি হ্রাসকরণ, নিরবিচ্ছিন্ন পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বাণিজ্যিক কৃষি, উদ্যোগক্তা তৈরি, মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান ও কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।