লক্ষ্মীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, ইয়াবাসহ তিন যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন যুবকের মধ্যে দুজন ভাই। তাঁরা হলেন পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার মনির হোসেনের ছেলে আহম্মদ ফারুক ও আহম্মদ আল আরেফিন। গ্রেপ্তার অপরজন হলেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাঞ্ছানগর এলাকার তোফায়েল আহম্মদের ছেলে আহসান আহম্মেদ।

পুলিশ জানায়, অভিযানে ওই বাসা থেকে ২টি এলজি, ৩টি রামদা, ৫টি চাকু, ১টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২দুটি গুলি, ৮৩টি ইয়াবা বড়ি, সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম ও ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ৪টি খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব খাতায় মাদক ব্যবসার হিসাব রাখা হতো।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আবদুল মোন্নাফ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযানে আটক তিনজনকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র আহম ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘হামলাকারী’ শ্রমিক লীগ নেতা নাছির গ্রেপ্তার

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাছির অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঢাকার একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৭-৮ জনের একটি দল তাকে আটক করে। রাতেই তাকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে ফরিদপুরের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 

এদিকে, নাছিরের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাত কয়েকজন নাছিরকে গাড়ির ভেতর বসিয়ে চড়-থাপ্পড় মারছেন। ফরিদপুরে এই ভিডিও এখন ফেসবুকে ট্রেন্ডিং, একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট ও শেয়ার হচ্ছে এটি।

ফরিদপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক নাজনীন আক্তার জানান, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় (জিআর নং ৬০৭/২৪) নাছিরকে আটক দেখানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নাছিরের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ৫ আগস্টের পর দায়ের করা একাধিক মামলা রয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তার গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/তামিম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ