কোথাও সড়কের ইট উঠে গেছে, কোথাও আবার সড়কজুড়ে কাদা। এর মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে পণ্যবোঝাই করা হচ্ছে। জরাজীর্ণ সড়ক ও কাদার কারণে পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়ছেন পণ্য ওঠানামায় নিয়োজিত শ্রমিকেরা। চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম পাইকারি আড়ত চাক্তাই এলাকার চিত্র এটি। ভাঙা সড়কের কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন চাক্তাইয়ের ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত সাত-আট মাস ধরেই চাক্তাই এলাকার অন্তত পাঁচটি সড়ক বেহাল। শুষ্ক মৌসুমে কোনোরকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় এসব সড়কে ভোগান্তি বেড়েছে। সড়কজুড়ে বৃষ্টির কারণে কাদা জমে থাকে। এতে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ছোট যানবাহন ও ঠেলাগাড়ি প্রায়ই সড়কে কাত হয়ে যায়।

প্রায় সাত-আট মাস ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে মধ্যম চাক্তাই ও রাজাখালী সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ। পাশের মকবুল সওদাগর সড়ক ও সোবহান সওদাগর সড়ক ভাঙা ও কাদায় ভরা। বাজারে অন্তত পাঁচটি সড়ক এমন। এগুলো দিয়ে খাতুনগঞ্জের যানবাহন চলাচল করে।আহসান খালেদ, যুগ্ম সম্পাদক, চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতি

দেশে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে আসা ট্রাক, মিনি ট্রাক ও ছোট-বড় যানবাহন চট্টগ্রাম জেল রোড ও বক্সিরহাট সড়ক দিয়ে খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করে। এরপর সেগুলো খাতুনগঞ্জ থেকে চাক্তাই এলাকার রাজাখালী সড়ক, সোবহান সওদাগর সড়ক, মকবুল সওদাগর সড়ক এবং চাক্তাই নতুন ও পুরাতন সড়ক হয়ে মূল সড়কে আসে। চাক্তাই এলাকায় এসব সড়ক খুবই বেহাল।

সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মধ্যম চাক্তাই এলাকায় ফইল্লার পুল (প্রথম পুল) থেকে মধ্যম চাক্তাই পুল পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ইট ও পিচ উঠে গেছে। মকবুল সওদাগর সড়ক ও সোবহান সওদাগর সড়কের এক পাশে কাদা ও ভাঙা। রাজাখালী সড়কের পুরোটিতেই কাদা ছড়িয়ে রয়েছে। সেখানে যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। এসব সড়কের পাশেই চালের অধিকাংশ আড়ত ও দোকান। দোকান ও আড়তের সামনেও কাদা জমে থাকতে দেখা গেছে।

চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আহসান খালেদ বলেন, সাত-আট মাস ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে মধ্যম চাক্তাই ও রাজাখালী সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ। পাশের মকবুল সওদাগর সড়ক ও সোবহান সওদাগর সড়ক ভাঙা ও কাদায় ভরা। বাজারে অন্তত পাঁচটি সড়ক এমন। এগুলো দিয়ে খাতুনগঞ্জের যানবাহন চলাচল করে।

সড়কে কাদা জমে আছে। এতে পণ্য পরিবহনে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল নগরের চাক্তাই এলাকার রাজাখালী সড়কে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ক ত ই এল ক র ব যবস য় র খ ত নগঞ জ সড়ক র সড়ক ও র সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রকল্পে অনিয়ম, দুদকের অভিযান

এক ব্যক্তির নামে একাধিক ও অস্তিত্ববিহীন অনেক প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সালামের কাছ থেকে প্রকল্পের নথিপত্র সংগ্রহ করে মাঠ-তদন্তে বের হয় দুদকের কর্মকর্তারা। 

আরো পড়ুন:

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক-টিআইবির ৫ বছর মেয়াদি চুক্তি

বাগেরহাটের দুদক কর্মকর্তা আবুল হাশেম স্ট্যান্ড রিলিজ

ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া  বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের জনস্বাস্থ্য উপখাতে ৪৭টি প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নে নেওয়া হয় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি প্রকল্প। একটি ইউনিয়নে জেলা পরিষদ থেকে এত বরাদ্দ কীভাবে গেল, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

দুদকের অভিযান চলাকালে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হেসেন সরদারকে অফিসে পাওয়া যায়নি। 

ঢাকা/মিলন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ