ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে কীভাবে ধরা খেয়ে গেলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন
Published: 9th, August 2025 GMT
১৯৭৪ সাল। আগস্ট মাসের ৯ তারিখ। ঘড়ির কাঁটায় বেলা ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট। একটি কাগজে সই করলেন রিচার্ড নিক্সন—যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। তাতে শুধু একটি বাক্যই লেখা, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে আমি পদত্যাগ করছি।’
সে–ই প্রথম, সে–ই শেষ। এর আগে বা পরে আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউস থেকে পদত্যাগ করেননি। কিন্তু কেন এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিক্সন? কী এমন ঘটেছিল যে ইতিহাস বদলে দেওয়া এ পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল তাঁকে?
জানতে হলে ফিরতে হবে আরও বছর দুয়েক আগে। খাতা খুলতে হবে মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে সাড়া ফেলা এক কেলেঙ্কারির—‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’। নিক্সনের এই কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের সাহসী সাংবাদিকতা। এর জেরেই পদত্যাগ করতে হয় রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টকে।
আজ শনিবার রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগের সেই দিন। এই দিনে চলুন জেনে নেওয়া যাক, তাঁর পদত্যাগের পেছনে থাকা ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির আদ্যোপান্ত। কীভাবে প্রথম সামনে এল এই কেলেঙ্কারির খবর, দুই সাংবাদিকের অদম্য অনুসন্ধানে কীভাবে জয় হয়েছিল সাংবাদিকতার, আর কীভাবেই–বা মুখোশ খুলে গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট নিক্সনের।
রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগপত্র.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র পদত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা
বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ আদেশ দেন।
‘উচ্ছেদ–আতঙ্কে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা’ শিরোনামে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস, সৌমিত্র সরদার, বিপ্লব কুমার পোদ্দার ও হিন্দোল নন্দী সোমবার রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জামিলা মমতাজ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
অন্যতম রিট আবেদনকারী উৎপল বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের কলোনি থেকে উচ্ছেদ করা থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চার আইনজীবী রিটটি করেন। ১৭০ বছর ধরে তাঁরা ওখানে আছে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। ফলে যে যেভাবে আছে, সেভাবে থাকবে, অর্থাৎ আপাতত তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’
প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্ছেদ-আতঙ্কে আছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের (সুইপার) একটি কলোনির বাসিন্দারা। নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠপট্টি এলাকার ওই কলোনিতে ৩৯টি সংখ্যালঘু হরিজন পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, আগামী দুর্গাপূজার পর তাদের এই কলোনি ছেড়ে দিতে হবে। এতে উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন এই কলোনির বাসিন্দারা।
এই উচ্ছেদপ্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে নগর ভবনে গিয়ে কলোনির বাসিন্দারা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাসিন্দাদের দাবি শতাধিক বছর ধরে তাঁরা নগরের কাঠপট্টি এলাকার এই কলোনিতে বসবাস করে নগরের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করছেন। এত বছরেও তাঁদের উচ্ছেদের চেষ্টা হয়নি। কিন্তু হঠাৎ তাঁদের নতুন জায়গায় যেতে বলা হয়েছে, যা তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।