১৯৭৪ সাল। আগস্ট মাসের ৯ তারিখ। ঘড়ির কাঁটায় বেলা ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট। একটি কাগজে সই করলেন রিচার্ড নিক্সন—যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। তাতে শুধু একটি বাক্যই লেখা, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে আমি পদত্যাগ করছি।’

সে–ই প্রথম, সে–ই শেষ। এর আগে বা পরে আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউস থেকে পদত্যাগ করেননি। কিন্তু কেন এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিক্সন? কী এমন ঘটেছিল যে ইতিহাস বদলে দেওয়া এ পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল তাঁকে?

জানতে হলে ফিরতে হবে আরও বছর দুয়েক আগে। খাতা খুলতে হবে মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে সাড়া ফেলা এক কেলেঙ্কারির—‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’। নিক্সনের এই কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের সাহসী সাংবাদিকতা। এর জেরেই পদত্যাগ করতে হয় রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টকে।

আজ শনিবার রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগের সেই দিন। এই দিনে চলুন জেনে নেওয়া যাক, তাঁর পদত্যাগের পেছনে থাকা ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির আদ্যোপান্ত। কীভাবে প্রথম সামনে এল এই কেলেঙ্কারির খবর, দুই সাংবাদিকের অদম্য অনুসন্ধানে কীভাবে জয় হয়েছিল সাংবাদিকতার, আর কীভাবেই–বা মুখোশ খুলে গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট নিক্সনের।

রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগপত্র.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকাসহ ১৫ জেলায় নতুন ডিসি

ঢাকা, খুলনা, গাজীপুর, বগুড়া, নোয়াখালীসহ ১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছয়জন ডিসিকে অন্য জেলায় বদলি এবং উপ সচিব পদ মর্যাদার নয়জন কর্মকর্তাকে নয়টি জেলায় ডিসির দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছে।

যে ছয় জেলার ডিসিকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে তাঁরা হলেন- বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, সিরাজগঞ্জের মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার ডিসি করা হয়েছে।

এ ছাড়া সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জের, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরের, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পাবনা জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরার, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটের, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ার এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব শামীম রহমানকে ভোলার জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, মাগুরার জেলা প্রশাসক ওহিদুল ইসলামকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব, পিরোজপুরের মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব, বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ