মঙ্গল গ্রহে প্রবাল আকৃতির পাথরের সন্ধান
Published: 9th, August 2025 GMT
আমাদের পৃথিবীতে নানা ধরনের পাথর দেখা যায়। প্রবালের মতো পাথরের ছবি মঙ্গলবুকে ধারণ করেছে রোভার কিউরিওসিটির রিমোট মাইক্রো ইমেজার। নাসার কিউরিওসিটি মার্স রোভার সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে একটি পাথরের কালো ও সাদা ছবি পাঠিয়েছে। সে পাথরটি দেখতে আমাদের পৃথিবীতে পাওয়া প্রবালের টুকরার মতো। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা–নাসা জানিয়েছে, হালকা রঙের পাথরটি বাতাসের কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। শিলাটি মঙ্গল গ্রহের অববাহিকা গ্যাল ক্রেটারে নামের খাদে পাওয়া গেছে। শিলাটি প্রায় এক ইঞ্চি প্রশস্ত। সমুদ্রের তলদেশে সাধারণভাবে দেখা প্রবালের মতো শাখা–প্রশাখা দেখা যাচ্ছে।
আবিষ্কৃত প্রবালসদৃশ শিলাটি ১০০ কোটি বছরের পুরোনো বলে মনে করছে নাসা। শিলাটির বর্ণহীন ছবিটি কিউরিওসিটির রিমোট মাইক্রো ইমেজারের মাধ্যমে তোলা হয়েছে। এটি একটি উচ্চ রেজল্যুশনের টেলিস্কোপিক ক্যামেরা। নাসা জানিয়েছে, কিউরিওসিটি রোভার এমন ধরনের অনেক ছোট ছোট বৈশিষ্ট্যের শিলা খুঁজে পেয়েছে। এসব শিলা কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গলে তরল পানির অস্তিত্ব থাকাকালীন তৈরি হয়েছিল। পানির কারণে দ্রবীভূত খনিজ পদার্থ পাথরের ফাটলে সংরক্ষিত হয়েছে। পরে পানি শুকিয়ে গেলে পাথর শক্ত খনিজকে ধারণ করেছে। বাতাসের কারণে শিলাপাথরটি ক্ষয় হতে হতে এখনকার রূপ পেয়েছে। পৃথিবীতে এসব শিলা ব্যাপকভাবে দেখা যায়।
এর আগে নাসার কিউরিওসিটি রোভার গত মাসে একই রকম দেখতে আরও একটি বস্তু আবিষ্কার করেছিল। পাপোসো ডাকনাম দেওয়া হয় সেই শিলার। সেই শিলার আকার প্রায় ২ ইঞ্চি। কিউরিওসিটি ২০১২ সালে মঙ্গলে অবতরণ করেছে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির নেতৃত্বে রোভারটি মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ স্ক্যান করার মাধ্যমে সুদূর অতীতের তথ্য সংগ্রহ করছে। এখন পর্যন্ত কিউরিওসিটি ১৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খাদের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। চলার পথটি আঁকাবাঁকা হওয়ার কারণে ধীরভাবে কাজ করছে রোভারটি।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব ল
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রকল্পে অনিয়ম, দুদকের অভিযান
এক ব্যক্তির নামে একাধিক ও অস্তিত্ববিহীন অনেক প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সালামের কাছ থেকে প্রকল্পের নথিপত্র সংগ্রহ করে মাঠ-তদন্তে বের হয় দুদকের কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন:
দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক-টিআইবির ৫ বছর মেয়াদি চুক্তি
বাগেরহাটের দুদক কর্মকর্তা আবুল হাশেম স্ট্যান্ড রিলিজ
ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের জনস্বাস্থ্য উপখাতে ৪৭টি প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নে নেওয়া হয় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি প্রকল্প। একটি ইউনিয়নে জেলা পরিষদ থেকে এত বরাদ্দ কীভাবে গেল, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
দুদকের অভিযান চলাকালে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হেসেন সরদারকে অফিসে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/মিলন/বকুল