পঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের কর্মী জাবেদ উমর (১৮) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানায় হত্যা মামলাটি করেন উমরের বড় ভাই মো. আশরাফ।

জাবেদ উমর পঞ্চগড় পৌরসভার পুরাতন ক্যাম্প এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি পঞ্চগড় বাজারে একটি ফলের দোকানের ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি পঞ্চগড় পৌর ছাত্রদলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তবে তাঁর ভাই আশরাফের দাবি, উমর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

আরও পড়ুনপঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের কর্মী নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ০৭ আগস্ট ২০২৫

এ মামলায় পঞ্চগড় পৌরসভার নতুনবস্তী-রাজনগর এলাকার আল আমিনকে (২১) প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ইসমাইল হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বিকেলে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ইসমাইল পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ রাজনগর-খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পঞ্চগড় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক (বহিষ্কৃত) সদস্যসচিব বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, জাবেদ উমরসহ তাঁর বন্ধুরা এলাকায় মাদকবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সোচ্চার ছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ জন্যই তাঁরা উমরের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দুপুরে উমর জেলা শহরের সিনেমা হল মার্কেটে একটি চায়ের দোকানে গেলে সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উমর সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু এ সময় তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। দুপুরের ঘটনার মীমাংসার কথা বলে ওই দিন রাত আটটার পর জাবেদকে আবারও সিনেমা হল মার্কেট এলাকায় ডেকে নেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে উমরের পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।

মামলার বাদী আশরাফ বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। উমর মাদকবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। এর জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সব আসামির গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাই।’

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লা হিল জামান বলেন, গ্রেপ্তার ইসমাইলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে (কারাগারে) পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল উমর র

এছাড়াও পড়ুন:

‘মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায়’ ছাত্রদল কর্মী উমরকে হত্যা, মামলা দায়ের

পঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের কর্মী জাবেদ উমর (১৮) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানায় হত্যা মামলাটি করেন উমরের বড় ভাই মো. আশরাফ।

জাবেদ উমর পঞ্চগড় পৌরসভার পুরাতন ক্যাম্প এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি পঞ্চগড় বাজারে একটি ফলের দোকানের ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি পঞ্চগড় পৌর ছাত্রদলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তবে তাঁর ভাই আশরাফের দাবি, উমর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

আরও পড়ুনপঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের কর্মী নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ০৭ আগস্ট ২০২৫

এ মামলায় পঞ্চগড় পৌরসভার নতুনবস্তী-রাজনগর এলাকার আল আমিনকে (২১) প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ইসমাইল হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বিকেলে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ইসমাইল পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ রাজনগর-খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পঞ্চগড় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক (বহিষ্কৃত) সদস্যসচিব বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, জাবেদ উমরসহ তাঁর বন্ধুরা এলাকায় মাদকবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সোচ্চার ছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ জন্যই তাঁরা উমরের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দুপুরে উমর জেলা শহরের সিনেমা হল মার্কেটে একটি চায়ের দোকানে গেলে সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উমর সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু এ সময় তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। দুপুরের ঘটনার মীমাংসার কথা বলে ওই দিন রাত আটটার পর জাবেদকে আবারও সিনেমা হল মার্কেট এলাকায় ডেকে নেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে উমরের পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।

মামলার বাদী আশরাফ বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। উমর মাদকবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। এর জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সব আসামির গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাই।’

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লা হিল জামান বলেন, গ্রেপ্তার ইসমাইলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে (কারাগারে) পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ