ঢাবির হলে শিবিরের কোনো কমিটি নেই: ফরহাদ
Published: 9th, August 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেছেন, “ঢাবির আবাসিক হলগুলোতে আমাদের কোনো রাজনৈতিক কমিটি নেই। শিবির হলভিত্তিক রাজনীতি নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক ছাত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী। শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে এবং তাদের মতামত নিয়েই আমরা কিছু সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করি।”
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “এসব কার্যক্রমের মধ্যে ছিল- তীব্র গরমে হলে হলে পানির ফিল্টার সরবরাহ, স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন পরিচালনা, নববর্ষ উপলক্ষে উপহার বিতরণ অন্যতম। এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে কিছু আবাসিক শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। কিছু পক্ষ এমনভাবে প্রচার করছে, যেন হলে হলে শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। বাস্তবে, সেবামূলক কার্যক্রমের সুবিধার্থে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা যদি এসব সেবা না চান, তাহলে আমরা তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেব।”
আরো পড়ুন:
ছাত্র সংগঠনগুলোর বোঝাপড়ায় আসা উচিত ছিল: ঢাবি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আসিফ
না চেয়েও ঢাবি ছাত্রদলের কমিটিতে পদ পাওয়ার দাবি শিক্ষার্থীর
এদিকে, শুক্রবার (৮ আগস্ট) মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ছাত্রশিবিরের স্থাপন করা পানির ফিল্টার ভাঙচুর করেন একদল শিক্ষার্থী। এছাড়া, রোকেয়া হলে দেওয়া শিবিরের ফিল্টার, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভেন্ডিং মেশিন ও ছাত্রদলের দেওয়া ডাস্টবিনও বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন হলটির শিক্ষার্থীরা।
পানির ফিল্টার স্থাপন প্রসঙ্গে ফরহাদ বলেন, “প্রতিটি হলে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে এবং হল প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আমরা পানির ফিল্টারগুলো স্থাপন করেছিলাম। শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে সংগঠমের অ্যালামনাইদের কাছ থেকে ফান্ড কালেক্ট করে আমরা তা উপহার হিসেবে দিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা যদি এখন সেগুলো ব্যবহার করতে আপত্তি জানায়, তাহলে আমরা সেগুলো সরিয়ে নেব।”
তিনি বলেন, “শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটকে ধারণ করে রাজনীতি করে, তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করে। শিবির তার সংবিধানে যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার বাইরে গিয়ে রাজনীতি করবে না।”
“ছাত্র ইউনিয়ন প্রথম জগন্নাথ হলে কমিটি দিয়েছে, উমামা তখন প্রতিবাদ করেনি কেন?”- প্রশ্ন রাখেন ঢাবি শিবির সভাপতি।
এর আগে, শুক্রবার রাতে হলগুলোতে গুপ্ত ও প্রকাশ্য সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ চেয়ে রাতভর বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রদলের পাশাপাশি শিবিরেরও গুপ্ত কমিটি বিদ্যমান। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জে জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ খামারবাড়ি'র আয়োজনে ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আ.জা.মু. আহসান শহীদ সরকার'র সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঢাকা'র মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা'র অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. জাকির হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (প্রশাসন ও অর্থ উইং) খামারবাড়ি ঢাকা'র উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মুরাদুল হাসান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা'র ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল কাইয়ুম মজুমদার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জহিরুল হক'র সঞ্চালনায় সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা'র সিনিয়র মনিটরিং অফিসার ড. মোছাঃ শারমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদা হাসনাত।
সভায় জেলার বীজ প্রত্যয়ন অফিসের কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালক, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, ৫ উপজেলার কৃষি অফিসার, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, জেলা কৃষি বিপনন অফিসের কর্মকর্তা, উপসহকারি পরিচালক, বিএডিসি, সাংবাদিকবৃন্দ ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৫জন উদ্যোগক্তা এবং কৃষিপন্য রপ্তানিকারক অংশগ্রহণ করেন।
প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্যেশ্য হলো-মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী, স্থানীয় গ্রহণযোগ্য ফসলের শস্যবিন্যাস ভিত্তিক নিবিড় ও চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, খাদ্য ঘাটতি হ্রাসকরণ, নিরবিচ্ছিন্ন পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বাণিজ্যিক কৃষি, উদ্যোগক্তা তৈরি, মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান ও কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।