স্বৈরাচারী বন্ধে মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রস্তুত: ধর্ম উপদেষ্টা
Published: 9th, August 2025 GMT
মসজিদ কমিটির স্বৈরাচারী বন্ধে মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ মিলনায়তনে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “শিগগিরই মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে গেজেট প্রকাশ করা হবে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে সরকার ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। মসজিদের মূল কাঠামো ঠিক রেখে ভেতরে সাজানো হবে।”
অন্যদিকে, একইদিন রাজধানীর বারিধারায় আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের আয়োজনে সংস্থাটির অফিসে অসহায় ও এতিম ছাত্র-ছাত্রীদের ভরণপোষণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেছেন, “ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মেই দান, সাহায্য ও সহানুভূতির কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মে মানবসেবাকে পবিত্র কর্তব্য হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নৈতিকতা, ধৈর্য, সহানুভূতি, এবং আত্মত্যাগের মতো গুণাবলিকে জাগ্রত করে।এটি মানুষকে প্রকৃত অর্থে মানুষ হতে সহায়তা করে।”
মানবসেবার গুরুত্ব তুলে ধরে ড.
তিনি আরো বলেন, “মানবসেবার মাধ্যম যে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়, যেটা অর্থ বা খ্যাতি দিয়েও অর্জন করা যায় না।”
আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, “এ সংস্থাটি বহুদিন ধরে মানব সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অসহায় ও এতিমদের প্রতিপালন, মসজিদ-মাদ্রাসা স্থাপন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, গৃহহীন ব্যক্তিদের জন্য ঘর নির্মাণ, বানভাসি মানুষের সহায়তাসহ নানা ধরনের সেবাধর্মী কার্যক্রম এই সংগঠনটি করে থাকে।”
এ সংস্থা আগামীতেও মানব সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে উপদেষ্টা সারা দেশের ৮১টি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধিদের হাতে তিন কোটি ৭০ লাখ ২৮ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
উল্লেখ্য, অসহায় ও এতিম শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইমদাদুল মুসলিমিনের অর্থায়নে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিন জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (প্রকল্প-১) মো. আনোয়ার হোসেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার (বেফাক) এর মহাসচিব মাহফুজুল হক ও সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক ইসলামী বেসরকারি সংস্থা রাবেতা আল আলম আল ইসলামীর প্রতিনিধি হাসান আকিল উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ মিলনায়তনে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ও এত ম মসজ দ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘মেরিনার কাজে প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়’
স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল বলেছেন, ‘মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।’
সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার পান মেরিনা তাবাশ্যুম। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্যাপন করতে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নাহাস আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচারের চেয়ারপারসন জয়নব ফারুকি আলী বলেছেন, ‘স্থাপত্য মানুষের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কী অসাধারণভাবে মিশে যায়, মেরিনা তাবাশ্যুম সেটার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর ঢাকার দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদে। ২০১৬ সালে যখন মসজিদটির উদ্বোধনে যাই, তখন মসজিদটির মোয়াজ্জিনের কাছে জানতে চাই, এ মসজিদের কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে। মোয়াজ্জিন বলেছিলেন, “আমার এখান থেকে আজান দিতে ভালো লাগে।”’
মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল।গতকাল ‘বিটুইন ইরোজন অ্যান্ড ইমার্জেন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আর্কিকানেক্টের সহযোগিতায় সিরামিক বাংলাদেশ ম্যাগাজিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্কিকানেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্থপতি জালাল আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম বলেন, ‘মসজিদের প্রকল্পটি ছিল ব্যক্তিগত। নানির দান করা জায়গায় ২০০৬ সালে এ মসজিদটির ডিজাইন শুরু করি। এটিকে শুধু মসজিদ হিসেবে না দেখে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যুক্ত করে মোর দ্যান মস্ক (মসজিদের চেয়েও বেশি কিছু) হিসেবে দেখার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠান কথা বলছেন স্থাপতি মেরিনা তাবাশ্যুম