‘‘কারিনার সঙ্গে পর্দায় অন্তরঙ্গ হতে ভালো লেগেছে। এখনও মনে পড়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করার কথা।’’— ২০২১ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছিলেন অর্জুন রামপাল। সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে আলোচনায় এসেছে। 

বলিউডের এক সময়ের আলোচিত জুটি কারিনা কাপুর ও অর্জুন রামপাল। পর্দায় তাদের রোমান্স—সিনেমায় অন্যরকম মাত্রা যোগ করতো। এই জুটি  ২০১২ সালে মধুর ভান্ডারকরের পরিচালনায় ‘হিরোইন’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন। তবে সিনেমায় দুইজনের মিলন দেখানো হয়নি। যার ফলে সিনেমার কাহিনি যেমন দর্শক মনে রেখেছেন আবার তাদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলোর কথাও দর্শক ভুলে যাননি।

অর্জুন রামপাল সেই স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে একদিকে আলোচনায় এসেছেন, তেমনি সমালোচনায়ও পড়তে হয়েছে তাকে। কারিনাকে নিয়ে তার মন্তব্যটিকে ভালোভাবে নেননি দর্শকদের একাংশ। রেডিটের এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘‘অর্জুনের এই মন্তব্য অদ্ভুত এবং অপেশাদার।’ 

আরো পড়ুন:

শরীর স্পর্শ করার প্রয়োজন হলে অনুমতি নিতেন শাহরুখ: শিবা

‘সাইয়ারা’ সিনেমার সাফল্য: প্রথমবার মুখ খুললেন নায়িকা

আবার আরেকজন লিখেছেন, ‘সেই সময় মনে হয় সকলেই এই ধরনের কথাবার্তা বলতে কোনোরকম দ্বিধাবোধ করতেন না।’ আবার কেউ কেউ মনে করছেন, অভিনেতা আসলে এসব বলতে চাননি। 

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হিরোইন’-এ কারিনা কাপুর খান এবং অর্জুন রামপালের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন রণদীপ হুদা, মুগ্ধা গডসে এবং দিব্যা দত্ত-সহ আরও অনেকে। এই সিনেমার গল্প এগিয়েছে মাহি নামে এক অভিনেত্রীকে ঘিরে। মাহি বিবাহিত প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। একটা পর্যায়ে হতাশায় ডুবে যায়। এবং শেষ পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে যেতে বসে। তারপর আবার নায়িকা ঘুরে দাঁড়ায়। তবে মধুরের সব ছবির মতোই এক্ষেত্রেও নায়িকা ফের ঘুরে দাঁড়ায়।নতুন জীবনে প্রেমিক হিসেবে আসেন অর্জুন রামপাল।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের মানুষ অসাধারণ, খাবার অসাধারণ: বিদায়বেলায় হানিয়া আমির

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেই আলোচনার ঝড় তুলেছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই।

পাকিস্তানে ফেরার আগে বাংলাদেশের মানুষের পাশাপাশি খাবারেরও প্রশংসা করেছেন হানিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশের ভক্ত ও জনগণকে বিদায় জানানো খুব কঠিন, যারা আমাকে সত্যিই ভালোবাসে এবং সমর্থন করে।’

হানিয়া লিখেছেন, ‘তোমাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসি। খাবার অসাধারণ ছিল, মানুষগুলো অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুনহানিয়া আমির কি পুরোনো প্রেমে ফিরছেন০১ জুলাই ২০২৫

একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন হানিয়া। ইতিমধ্যে তাঁর পাকিস্তানে ফেরার কথা রয়েছে।

পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতেও তুমুল জনপ্রিয় হানিয়া। অভিনয় থেকে স্টাইল—সবখানেই তাঁকে নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনা দেখা যায়।

২০১৬ সালে ‘জনান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে হানিয়ার। এক দশকের ক্যারিয়ারে ‘মেরে হামসাফার’, ‘ফেইরি টেল’, ‘দিলরুবা’, ‘আনা’, ‘কাভি মে কাভি তুম’-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।

হানিয়া আমির

সম্পর্কিত নিবন্ধ