সৌদি প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাব আল হিলাল ফুটবল বিশ্বে বড় এক ধাক্কা দিয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গর্ব লিভারপুল থেকে ২৬ বছর বয়সী উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজকে ৭৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি প্রায় ৫৩ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভেড়িয়েছে তারা। শনিবার তিন বছরের চুক্তিতে নুনেজের আল হিলাল যোগদান নিশ্চিত হয়।

২০২২ সালে লিভারপুল বেনফিকা থেকে এই ফরোয়ার্ডকে ৬৪ মিলিয়ন ইউরোতে এনেছিল। কিন্তু তার প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সে পৌঁছাতে পারেনি। ১৪৩ ম্যাচে ৪০ গোল করলেও শেষ মৌসুমে মাত্র ৮টি ম্যাচে শুরু থেকেই খেলেছেন। যেখানে লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতেছিল। প্রথম দুই মৌসুমে তার পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো ছিল। প্রথমে ১৫ গোল, পরের মৌসুমে ১৮ গোল। তবুও তৃতীয় মৌসুমে শুরু থেকেই মূল দলে জায়গা পেতে পারেননি।

আর্নে স্লট কোচের অধীনে ক্রমেই গুরুত্ব হারানো নুনেজের এই যাত্রার অবসান লিভারপুলের স্ট্রাইকার নির্বাচনে নতুন পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই জার্মানিতে আল হিলালের প্রাক-মৌসুম শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন:

ট্রেন্ট আলেকজান্ডারকে ফ্রি পাচ্ছে না রিয়াল! 

লিভারপুল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানালেন আর্নল্ড, যাচ্ছেন কোথায়?

এদিকে, লিভারপুলের নতুন স্ট্রাইকারের জন্য বাজারেও সরগরম অবস্থা। যদিও নিউক্যাসল ইউনাইটেড ১১০ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে আলেক্সান্ডার ইসাককে নিয়ে। তবুও লিভারপুলের এই পদক্ষেপ ফুটবল জগতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। লিভারপুল নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য নুনেজকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুভকামনা জানিয়েছে।

সৌদি আরবের ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক শক্তি এবং বিশ্বমানের খেলোয়াড় দলে নিয়ে আসার প্রবণতা ফুটবল বিশ্বের চিত্র পাল্টে দিচ্ছে। নুনেজের এই রূপান্তর তারই সাক্ষ্য।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আল হ ল ল

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজের জন্য নতুন অনুপ্রেরণা

মঞ্চ থেকে নামতে নামতেই মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম আলোর আলোকচিত্রী শামসুল হককে অনুরোধ জানালেন, ‘ভাই, ছবিগুলো কিন্তু পাঠিয়ে দেবেন…।’ চেয়ারে রেখে যাওয়া ফোনে ততক্ষণ কল চলে এসেছিল স্ত্রী রাবেয়া প্রীতির। সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে বর্ষসেরা রানারআপ হওয়ার খবরটি তাঁকেই আগে জানালেন মিরাজ।

বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার মিরাজ পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আগেও দুবার রানারআপ হয়েছি। চ্যাম্পিয়ন হওয়া হলো না! তবে খুব ভালো লাগছে। এখানে এলে সব সময়ই ভালো লাগে।’ তাহলে কি পরেরবার বর্ষসেরা হতে চাইবেন? প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসি দিলেও কিছু বলেননি। মাঠে পারফরম্যান্স করেই হয়তো সেই দাবি জানিয়ে রাখবেন।

সতীর্থ তাসকিন আহমেদের সঙ্গেই অনুষ্ঠানের পুরো সময় বসেছিলেন মিরাজ। তাঁদের মধ্য থেকে আগে মিরাজকে মঞ্চ ডেকে নেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে দুজন রানারআপ হন, একজন যে মিরাজ, তা জানা হয়ে গেছে ততক্ষণে। কিন্তু অন্যজন কে?

আরও পড়ুন১০ কোটি টাকায় বায়োমেকানিকস ল্যাব বানাবে বিসিবি১৩ ঘণ্টা আগে

হাবিবুলের কাছ থেকে মিরাজই পান পরের নামটি ঘোষণার দায়িত্ব। একটু নাটকীয়তা করে তিনি ঘোষণা দিলেন, ‘আমার পাশেই বসা ছিল…। তাসকিন।’ সতীর্থ মঞ্চে আসার পর অনুভূতিটা শুরুতে জানাতে হলো মিরাজকেই। পুরস্কার পাবেন কি না, ওই দ্বিধা নিয়েই তিনি এসেছিলেন অনুষ্ঠানে। কাল রাতেও যখন পুনরায় নিমন্ত্রণ পান, তখনো নাকি বারবার জানতে চাইছিলেন পুরস্কার পাবেন কি না।

সংশয় শেষ হয়েছে গতকাল পুরস্কার পাওয়ার পর। তবে শুরুতে তিনি নিজেও নাকি মনে করতে পারছিলেন না কেন পেয়েছেন এই পুরস্কার, ‘২০২৪ সালে কী করেছি মনে নেই!’ একটু পরই অবশ্য গত বছরের কথা মনে পড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি পারফরম্যান্সকে তো স্বীকৃতি দিয়েছেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা হিসেবেই, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলাম। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন।’

দুই বর্ষসেরা রানার আপ মিরাজ ও তাসকিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিরাজের মাত, বুমরার ঘাত আর তাসকিনের ভাবনা
  • মিরাজের জন্য নতুন অনুপ্রেরণা