বন্দরে নাতিন জামাইয়ের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধা দাদি শাশুড়ির নিহত
Published: 11th, August 2025 GMT
বন্দরে ঝগড়া থামাতে গিয়ে নাতিন জামাইয়ের লাঠির আঘাতে জোবাইদা বেগম(৭২) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত দাদী শাশুড়ী জোবাইদা বেগম বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকার মৃত নুরুদ্দিনের স্ত্রী।
নিহতের ভাতিজা নজরুল ইসলাম জানান, গত শনিবার নাতিন রিফাতের সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। চাচি জোবাইদার ঝগড়া থামাতে যান।
এ সময় নাতিন জামাই রিফাতের লাঠির আঘাত মাথায় লেগে আহত হন চাচি। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, রিফাতের(২৮) সঙ্গে তার স্ত্রীর কলহ শুরু হলে তা থামাতে যান দাদি শাশুড়ি জোবাইদা বেগম। এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত পান তিনি।
তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সকালে মারা যান তিনি। জোবাইদা বেগমের পরিবারকে অভিযোগ দায়েরের জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ