‘ঝগড়াটে’, ‘বদমেজাজি’, ‘অহংকারী’, ‘খিটখিটে বুড়ি’—সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী জয়া বচ্চনকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব বলে সমালোচনা করা হয়। এবার বিজেপির সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত জয়াকে ‘লাল ঝুঁটিধারী ঝগড়াটে মুরগি’ বলে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন।
ঘটনা ঘটেছে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে। সেখানে এক ভক্ত কাছাকাছি গিয়ে জয়ার সঙ্গে সেলফি তুলতে গেলে অভিনেত্রী মেজাজ হারান। সমাজবাদী পার্টির এই সংসদ সদস্য ওই ব্যক্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে দেখেন, কীভাবে জয়া আচরণ করেন। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, জয়া বচ্চন লাল রঙের শাড়ি ও সমাজবাদী পার্টির লাল টুপি পরে রয়েছেন। তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ওই ব্যক্তি জয়ার অনুমতি ছাড়া সেলফি তুলতে গেলে বিরক্ত বোধ করে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন জয়া। রাগে চেঁচিয়ে বলেন, ‘হচ্ছেটা কী? কী করছেন আপনি?’

ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় কঙ্গনা রনৌত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জয়াকে ‘সবচেয়ে বিগড়ানো’ ও ‘সুবিধাপ্রাপ্ত নারী’ বলে উল্লেখ করেছেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রাম বদলে দিয়েছে সিনেমা, স্বীকৃতি পেলেন পরিচালক ডায়মন্ড

শিল্প কখনো কখনো কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়—এটি সমাজ ও অঞ্চলের রূপান্তরেও ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় ঘটেছে তেমনই একটি ঘটনা। একটি সিনেমা বদলে দিয়েছে একটি গ্রামের পরিচিতি, আর সেই পরিবর্তনের স্বীকৃতি পেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। 

১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি নাচোলে সংঘটিত ইলা মিত্রের নেতৃত্বে কৃষক–সাঁওতাল বিদ্রোহের কাহিনি অবলম্বনে ডায়মন্ড নির্মাণ করেন ‘নাচোলের রানী’ সিনেমা। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি নাচোলকে নতুন করে পরিচিত করে বিশ্বজুড়ে। সিনেমার শুটিং স্পটকে কেন্দ্র করে ইলা মিত্রের নামে গড়ে ওঠে সংগ্রহশালা, যা এখন গ্রামীণ পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ। 

আরো পড়ুন:

‘সোলজার’-এ শাকিবের বিপরীতে তানজিন তিশার ফার্স্টলুক প্রকাশ

ফের বিজ্ঞাপনচিত্রে শাকিব খান

গ্রামবাসী পরিচালক ডায়মন্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে যাননি। তারই অংশ হিসেবে ১৬ নভেম্বর সংগ্রহশালার পাশে স্থাপন করা হয়েছে একটি স্বীকৃতি ফলক, যা উন্মোচন করেছেন কৃষক সমাজের প্রতিনিধি জিল্লুল রহমান এবং সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি বিধান সিং। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে গ্রামবাসী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন। 

স্বীকৃতির মুহূর্তে আবেগপ্রবণ ডায়মন্ড বলেন, “জীবদ্দশায় এমন স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই দুর্লভ এবং আবেগঘন।” 

এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টে দিয়েছেন ডায়মন্ড। তাতে তিনি লিখেছেন, “নাচোলের রানী মুক্তির পর নাচোল বিশ্বব্যাপী নতুন পরিচিতি পায়। দুই দশক পর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই ফলক স্থাপন সত্যিই গর্বের।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ