সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস হলে চলনবিলের ক্ষতি হবে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে আয়োজিত পৃথক তিনটি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩-এর মিলনায়তনে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা; বেলা ১১টায় শাহজাদপুরের বহল বাড়ি ও বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম এবং দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে কয়েক দিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ, রেলপথ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে আজ তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করলেন।

শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে যখন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল, তখন পরিবেশকর্মী পরিচয়ে একটি লোভী, স্বার্থান্ধ গোষ্ঠী রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হলে চলনবিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। গত ৯ বছরে তারা এ বিষয়ে একটি কথাও বলেনি। তাঁরা এমন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, শাহজাদপুরের বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের সঙ্গে চলনবিলের কোনো সম্পর্ক নেই। এ স্থানের সঙ্গে চলনবিলের রৈখিক দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে অসংখ্য বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদসহ নানাবিধ অবকাঠামো আছে। বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের সঙ্গে চলনবিলের কোনো বিরোধ নেই।

আরও পড়ুনস্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এবার যমুনা সেতুর মুখে মহাসড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি১৪ আগস্ট ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জান্নাতুল মাওয়া মুন, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ইয়াতসিংহ শুভ, শিক্ষক দেবশ্রী দোলন, প্রোগ্রামার মানিক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলা বিভাগের মো.

মেরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে নদী ভালোবাসেন, চলনবিল রক্ষা করতে চান, তবে নদীর বাঁধ নিয়ে কথা বলুন, জলকপাট নিয়ে কথা বলুন, অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে কথা বলুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতিকে আশ্রয় করে মানুষ ও প্রকৃতির পারস্পরিক মিতালি রক্ষা করে তৈরি হয়। প্রকৃতি ও মানুষের মেলবন্ধন রচনার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যে জনসম্পদ তৈরি করবে, তারা হবে সত্যিকারের প্রকৃতির সন্তান, দেশপ্রেমিক। আপনারা ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করুন। লোভে পড়ে শত শত শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে খেলবেন না।’

আরও পড়ুনস্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ৬ ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়১৩ আগস্ট ২০২৫

বহল বাড়ি ও বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুল হান্নান বলেন, বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। যে চলনবিলের কথা বলা হচ্ছে, সেই চলনবিলের দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার। তাহলে চলনবিলের ক্ষতি হবে কীভাবে? একটি মহল কারও কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুনরবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের এবার রেলপথ অবরোধ১৩ আগস্ট ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলনব ল র ক প রক ত অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হলে চলনবিলের ক্ষতির আশঙ্কা ‘ভিত্তিহীন’

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস হলে চলনবিলের ক্ষতি হবে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে আয়োজিত পৃথক তিনটি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩-এর মিলনায়তনে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা; বেলা ১১টায় শাহজাদপুরের বহল বাড়ি ও বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম এবং দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে কয়েক দিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ, রেলপথ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে আজ তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করলেন।

শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে যখন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল, তখন পরিবেশকর্মী পরিচয়ে একটি লোভী, স্বার্থান্ধ গোষ্ঠী রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হলে চলনবিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। গত ৯ বছরে তারা এ বিষয়ে একটি কথাও বলেনি। তাঁরা এমন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, শাহজাদপুরের বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের সঙ্গে চলনবিলের কোনো সম্পর্ক নেই। এ স্থানের সঙ্গে চলনবিলের রৈখিক দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে অসংখ্য বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদসহ নানাবিধ অবকাঠামো আছে। বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের সঙ্গে চলনবিলের কোনো বিরোধ নেই।

আরও পড়ুনস্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এবার যমুনা সেতুর মুখে মহাসড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি১৪ আগস্ট ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জান্নাতুল মাওয়া মুন, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ইয়াতসিংহ শুভ, শিক্ষক দেবশ্রী দোলন, প্রোগ্রামার মানিক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলা বিভাগের মো. মেরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে নদী ভালোবাসেন, চলনবিল রক্ষা করতে চান, তবে নদীর বাঁধ নিয়ে কথা বলুন, জলকপাট নিয়ে কথা বলুন, অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে কথা বলুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতিকে আশ্রয় করে মানুষ ও প্রকৃতির পারস্পরিক মিতালি রক্ষা করে তৈরি হয়। প্রকৃতি ও মানুষের মেলবন্ধন রচনার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যে জনসম্পদ তৈরি করবে, তারা হবে সত্যিকারের প্রকৃতির সন্তান, দেশপ্রেমিক। আপনারা ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করুন। লোভে পড়ে শত শত শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে খেলবেন না।’

আরও পড়ুনস্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ৬ ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়১৩ আগস্ট ২০২৫

বহল বাড়ি ও বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুল হান্নান বলেন, বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। যে চলনবিলের কথা বলা হচ্ছে, সেই চলনবিলের দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার। তাহলে চলনবিলের ক্ষতি হবে কীভাবে? একটি মহল কারও কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুনরবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের এবার রেলপথ অবরোধ১৩ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ