চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তারিখ তিন দিন পিছিয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১২ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। আর ১৪, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় চাকসু নির্বাচন কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘দুপুর দুইটায় নির্বাচন কমিশনারের সদস্যদের বৈঠক ছিল। এ বৈঠকে নতুন প্রক্টর হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী ও সহকারী প্রক্টর ইসমত আরা হক শপথ নেন। এ বৈঠকে তারিখ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেই ‘ভাতের হোটেলে’ এখন ভোটের উত্তাপ৬ ঘণ্টা আগে

এর আগে গতকাল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা হয়েছিল। এতে প্রার্থীরা প্রচারণার সময় বাড়িয়ে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতেই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী।

গত ২৮ আগস্ট চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ১২ অক্টোবর। তবে তা পেছানো হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিতে ইতিমধ্যে ৯৩১জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চাকসুতে ২৬ পদের বিপরীতে ৪২৯জন আর হল সংসদে ১৯৬টি পদের বিপরীতে ৪৮১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আরও পড়ুননির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন ৩৮৫ শিক্ষার্থী ২১ ঘণ্টা আগে

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, গতকাল চাকসুর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ হয়েছে । আগামীকাল পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে। আগামী বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট শেষে গণনা শুরু হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (জকসু) তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর।

বুধবার (৫ নভেম্বর) শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।

আরো পড়ুন:

জবি শিবিরের মেধাবীদের তালিকায় নেই ৩ বিভাগের শিক্ষার্থী

জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি

এ সময় তিনি বলেন, “৫ নভেম্বর জকসু নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত আচরণ বিধিমালা প্রকাশ করা হবে। ৬ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৯ এবং ১০ নভেম্বর ভোটার তালিকার আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি শেষে ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।”

মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য প্রার্থীরা ১৩, ১৬ এবং ১৭ নভেম্বর এই তিন দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় পাবেন। ১৭ এবং ১৮ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় পাবেন। ১৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়।

১৯ ও ২০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে ২৩ নভেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। ২৪, ২৫ এবং ২৬ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে। ২৭ ও ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের ডোপ-টেস্ট করা হবে। ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান আরো জানান, প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ পাবেন তিন দিন। ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ ডিসেম্বর।  ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাতে পারবেন। ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ভোট গণনা হওয়া সাপেক্ষে ওই দিনই অথবা তারপরের দিন ২৩ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

জকসু নির্বাচন ২০২৫ সংক্রান্ত সব তথ্য ও নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে (https://jnucsu.jnu.ac.bd) পাওয়া যাবে।

তফসিল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান। 

ঢাকা/লিমন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর