নাটোরে জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কাশেম  গ্রুপের মিছিল দুলু গ্রুপের ধাওয়ায় পণ্ড হয়ে গেছে। তবে উভয় গ্রুপের এই কর্মসূচি দলীয় নয় বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ।

মঙ্গলবার  (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাটোর  প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার জনসাধারণের ব্যানারে শিল্পপতি আবুল কাশেম গ্রুপ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সমর্থকরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে মিছিলের ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে চলে যায় দুলুর সমর্থকেরা। পরে তারা মিছিল বের করে।

আরো পড়ুন:

পাবনায় বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

রাবির সাবেক সমন্বয়ক আম্মারকে প্রতিহতের ঘোষণা স্থানীয়দের

নাটোর জেলা সাইবার কমিটির জেলা সেক্রেটারি গুলমেরাজ হ্যামলেট বলেন, ‘‘জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কাশেম সমর্থকরা বিকেলে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমতাবস্থায় দুলুর নেতাকর্মীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে চলে যায়।’’

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে দুলু সমর্থিত নেতারা বলেন, ‘‘জনপ্রিয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে নাটোরের মাটিতে ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। কেউ এ ধরনের ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত করলে তাকে রুখে দেওয়া হবে।’’

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সমর্থনে করা মিছিলে নেতৃত্বদানকারী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন বলেন, ‘‘বিএনপি নামধারী কিছু দুষ্কৃতিকারী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছিল। সাধারণ বিএনপি নেতাকর্মীরা তার প্রতিরোধ করেছে মাত্র, যাতে আমি নিজেও ছিলাম।’’ তিনি দাবি করেন নাটোরের বিএনপিতে কোনো গ্রুপিং নেই।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘‘দলীয় কর্মসূচি ছিল না। ব্যক্তিগতভাবে কোনো নেতার সমর্থকরা কর্মসূচি পালন করতে পারে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।’’

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সদস য র সমর সমর থ

এছাড়াও পড়ুন:

কোচ গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচের আগে যা জানতে পারেন

রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই ম্যাচেই কোচ হিসেবে এক অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন পেপ গার্দিওলা—এটাই হবে তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ।

২০০৭ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের দায়িত্ব নিয়ে কোচিং শুরু করেছিলেন গার্দিওলা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি পরিচালনা করেছেন ৯৯৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে জয় এসেছে ৭১৫টিতে, হার মাত্র ১২৮টিতে।

বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে কোচ হিসেবে গার্দিওলা জিতেছেন ১২টি লিগ শিরোপা ও ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। এ ছাড়া তাঁর গৌরবময় ক্যারিয়ারে আছে আরও ১৪টি ঘরোয়া কাপ শিরোপা।

আরও পড়ুনরেকর্ড গড়ার পর গার্দিওলা বললেন, ‘ফার্গুসন–ওয়েঙ্গারকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানাব’০৬ অক্টোবর ২০২৫

বিবিসি স্পোর্ট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কত ম্যাচ জিতেছেন, জানেন কি না। গার্দিওলা হেসে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই জানি, অনেক। সংখ্যাগুলো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি সংখ্যাগুলো নিয়ে ভাবি না। কিন্তু যখন এমন মাইলফলক আসে এবং আমি করেছি তা লেখা হয়, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগেও—তখন বোঝা যায় বার্সেলোনা, বায়ার্ন আর এখানেও অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি।’

গার্দিওলা আরও বলেন, ‘এমন স্তরে পৌঁছানো খুব কঠিন। যদি আবার শুরু করতাম, হয়তো কখনোই এত দূর যেতে পারতাম না। এটা অনেক বড় পথ। প্রায় ১০০০ ম্যাচের মধ্যে অল্প কিছু ম্যাচে হেরেছি। আশা করি, রোববারও আমরা জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারব।’

গার্দিওলার এই মাইলফলককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ক্যারিয়ারে দুই হাজারের বেশি ম্যাচ পরিচালনা করা ফার্গুসন বলেছেন, ‘পেপ! আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাকে লিগ ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) হল অব ফেমের ১০০০ ক্লাবে স্বাগত জানানোর সুযোগ পাচ্ছি।

খেলার প্রতি আপনার ভালোবাসা ও আবেগ সব সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আপনি যেভাবে বিশ্বের ফুটবলে অবিস্মরণীয় প্রভাব রেখে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আপনার গর্বিত হওয়া উচিত। ১০০০টি ম্যাচে পৌঁছানো এবং ফুটবলে এমন দীর্ঘস্থায়িত্ব অর্জন করা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ