ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে আফগানিস্তান কি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হবে
Published: 24th, September 2025 GMT
যখন আমি শিশু ছিলাম, তখন আফগানরা বিদেশে তাঁদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য পাকিস্তান যেতে বাধ্য হতেন। আজ আমরা আবার এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি। আমাদের হয়তো কেবল ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য প্রতিবেশী কোনো দেশে যেতে হবে।
গত সপ্তাহে কাবুল, কান্দাহার, হেলমান্দ, বলখসহ কয়েকটি প্রদেশে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। এ পদক্ষেপ সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি তালেবান নেতৃত্ব তাঁদের নীতি পুনর্বিবেচনা না করেন, আফগানিস্তান বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
শিগগিরই আপনি হয়তো আমার লেখা এবং লাখ লাখ আফগান নাগরিকের গল্প পড়তেও পারবেন না। কারণ, আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারব না। পুরো দেশে একটি নিঃশব্দ পরিবেশ বিরাজ করবে।
আরও পড়ুনতালেবানের ভেতরে বিদ্রোহের শঙ্কা, সংকটে আফগানিস্তান?২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বলখ প্রদেশে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার পর বলখের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র হাজি জায়েদ এক্সে বলেছেন, যাতে ‘অশ্লীলতা’ রোধ করা যায়, সে জন্য এ নিষেধাজ্ঞা সরাসরি তালেবান নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকেই তাঁর পোস্টের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এই নীতি প্রয়োগের আগে একটি উপযুক্ত বিকল্প নিশ্চিত করা উচিত ছিল।
যদি দেশের সব জায়গায় ইন্টারনেট–সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়, তা আফগান নাগরিকদের জীবনকে অনেকভাবে প্রভাবিত করবে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে। অনলাইন শিক্ষা ও বৃত্তির সুযোগ হারিয়ে যাবে।
অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও, ই-গভর্নমেন্ট পরিষেবা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং অনলাইনে কাজ করা মানুষদের কাজও হাতছাড়া হবে। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যাবে।
আমার পরিবারও এ পরিস্থিতিতে ভোগান্তির মুখে পড়বে। কয়েক বছর ধরে বেকারত্বের সঙ্গে লড়াই করার কারণে আমি ইন্টারনেটে বিভিন্ন উপার্জনের সুযোগ খুঁজে পেয়েছি। এর মধ্যে একটি হলো ইউটিউব চ্যানেল চালু করে দেশের সুন্দর স্থানগুলো দেখানো। আরও গুরুত্বপূর্ণ, ভালো ইন্টারনেট–সংযোগ না থাকলে আমরা বিদেশে থাকা সেসব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেও সমস্যায় পড়তাম, যাদের সঙ্গে আমরা ফি বছর দেখা করার আশা করি না।
কাবুলের রাস্তায়। আফগানিস্তান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলমের আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গত বৃহস্পতিবার রাতেই জানিয়েছিল বিসিবি। জানানো হয়েছিল, কমিটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেবে। দুদিন পর আজ রাতে তিন সদস্যের কমিটির নাম ঘোষণা করেছে বিসিবি।
আরও পড়ুনজাহানারার অভিযোগ নিয়ে কী বলছেন মঞ্জুরুল২২ ঘণ্টা আগেতিন সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক তারিক উল হাকিম। কমিটির অন্য দুই সদস্য বিসিবির একমাত্র নারী পরিচালক রুবাবা দৌলা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। ব্যারিস্টার সারওয়াত বাংলাদেশ উইমেন্স স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রীও।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড