এমবাপ্পের জোড়া গোলে রিয়ালের বড় জয়
Published: 24th, September 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদের মৌসুমটা যেন একেবারেই রূপকথার শুরু। টানা ষষ্ঠ জয় তুলে নিয়ে শীর্ষে অদম্য তারা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে লা লিগায় লেভান্তের মাঠে ৪-১ গোলের দাপুটে জয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিউস জুনিয়র আর আর্জেন্টাইন কিশোর ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়ানো।
প্রথমার্ধেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ নেয় রিয়াল। ২৮ মিনিটে বাম দিক থেকে কেটে ঢুকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে দূরের কোণে বল জড়িয়ে দেন ভিনিসিউস জুনিয়র। তিন ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর এই গোল যেন তার ক্ষুধার নিখুঁত প্রতিদান।
আরো পড়ুন:
২০৩১ সাল পর্যন্ত বার্সায় ইয়ামাল, হলেন সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড়
বিদায়ী রাতে নতুন যুগের ইঙ্গিত রিয়ালের
রিভার প্লেট থেকে আসা মাত্র ১৮ বছর বয়সী ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়ানোর জন্য রাতটা হয়ে উঠল স্মরণীয়। ৩৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া তার শট সোজা গিয়ে জড়িয়ে পড়ে জালের শীর্ষ কোণে। এটি ছিল তার রিয়ালের হয়ে প্রথম গোল, আর সঙ্গে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্তগুলোর একটি।
৫৪ মিনিটে ব্যবধান কমায় লেভান্তে। দলটির প্রথম অনটার্গেট শটেই কাছ থেকে হেড করে গোল করেন এত্তা আয়ং। মুহূর্তের জন্য ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত মিলেছিল তাদের।
কিন্তু এরপর নামলেন এমবাপ্পে। ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি বক্সে ফাউলের শিকার হয়ে নিজেই নিলেন স্পট কিক। সাহসী পানেনকা শটে বল জড়িয়ে দিলেন জালে। ঠিক দুই মিনিট পর গোলকিপারকে কাটিয়ে খালি পোস্টে বল ঠেলে দিয়ে করলেন নিজের দ্বিতীয় গোল। এ নিয়ে সাত ম্যাচে মোট ৯ গোল করলেন। যা রিয়াল জার্সিতে নতুন মৌসুমে তার আগুনঝরা সূচনার ইঙ্গিত।
লা লিগায় একমাত্র দল হিসেবে প্রথম ছয় ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরই মধ্যে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগও শুরু করেছে জয়ে, মার্সেইকে হারিয়ে। সর্বশেষ এই জয় তাদের বার্সেলোনার চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে দিলো। আগামী বৃহস্পতিবার নবপ্রমোটেড ওভিয়েদোর মাঠে খেলতে নামবে শিরোপাধারীরা।
লেভান্তে যদিও মৌসুম শুরু করেছিল টলমলে পায়ে। তবে গত ম্যাচে ৪-০ গোলে জিরোনাকে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে ছিল। কিন্তু রিয়ালের বিপক্ষে সেই আত্মবিশ্বাস আর টিকল না।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ফ টবল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
রেস্টুরেন্টে বাসন মাজতেন এই অভিনেত্রী, পরে হয়েছিলেন মন্ত্রীও
বলিউডে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এক তরুণী। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এয়ার হোস্টেসের ইন্টারভিউ থেকে এই বলে যে তাঁর ‘ব্যক্তিত্ব নেই’। সংসার চালাতে একসময় বাসন মাজতে হয়েছিল রেস্টুরেন্টে। অথচ সেই তরুণীই পরে হয়ে উঠলেন ভারতের টেলিভিশনের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া তারকা। ছিলেন দেশের মন্ত্রী। এ এক অবিশ্বাস্য পথচলা স্মৃতি ইরানির।
টেলিভিশনে সাফল্যের পর রাজনীতির ময়দানেও পা রাখেন স্মৃতি ইরানি। ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়েন। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অভিনয়ের জনপ্রিয়তা আর ব্যক্তিগত সংগ্রামের অভিজ্ঞতা তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য করেছে।শৈশবের দারিদ্র্য আর লড়াই
১৯৭৬ সালে দিল্লিতে জন্ম স্মৃতি মালহোত্রা নামে। তিন বোনের মধ্যে তিনি বড়। বাবা আধা পাঞ্জাবি, আধা মহারাষ্ট্রীয়; মা বাঙালি। সংসারের অবস্থা ছিল শোচনীয়। বাবা আর্মি ক্লাবের বাইরে বই বিক্রি করতেন, মা মসলা বিক্রি করতেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। আয়ের সীমিত টাকায় দিন চলত। কলেজ ছাড়তে হয়েছিল অর্থাভাবে। পরিবারের হাল ধরতে নেমে পড়তে হয় নানা কাজে।
স্বপ্ন ভাঙার দিনগুলো
স্মৃতি প্রথম আলোচিত হন মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে—শীর্ষ ১০-এও পৌঁছেছিলেন। কিন্তু সে জন্য ধার করতে হয়েছিল এক লাখ রুপি। এরপর এয়ার হোস্টেস হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাখ্যাত হন। কারণ, ‘চেহারায় ব্যক্তিত্ব নেই’।