রিয়াল মাদ্রিদের মৌসুমটা যেন একেবারেই রূপকথার শুরু। টানা ষষ্ঠ জয় তুলে নিয়ে শীর্ষে অদম্য তারা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে লা লিগায় লেভান্তের মাঠে ৪-১ গোলের দাপুটে জয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিউস জুনিয়র আর আর্জেন্টাইন কিশোর ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়ানো।

প্রথমার্ধেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ নেয় রিয়াল। ২৮ মিনিটে বাম দিক থেকে কেটে ঢুকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে দূরের কোণে বল জড়িয়ে দেন ভিনিসিউস জুনিয়র। তিন ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর এই গোল যেন তার ক্ষুধার নিখুঁত প্রতিদান।

আরো পড়ুন:

২০৩১ সাল পর্যন্ত বার্সায় ইয়ামাল, হলেন সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড়

বিদায়ী রাতে নতুন যুগের ইঙ্গিত রিয়ালের

রিভার প্লেট থেকে আসা মাত্র ১৮ বছর বয়সী ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়ানোর জন্য রাতটা হয়ে উঠল স্মরণীয়। ৩৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া তার শট সোজা গিয়ে জড়িয়ে পড়ে জালের শীর্ষ কোণে। এটি ছিল তার রিয়ালের হয়ে প্রথম গোল, আর সঙ্গে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্তগুলোর একটি।

৫৪ মিনিটে ব্যবধান কমায় লেভান্তে। দলটির প্রথম অনটার্গেট শটেই কাছ থেকে হেড করে গোল করেন এত্তা আয়ং। মুহূর্তের জন্য ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত মিলেছিল তাদের।

কিন্তু এরপর নামলেন এমবাপ্পে। ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি বক্সে ফাউলের শিকার হয়ে নিজেই নিলেন স্পট কিক। সাহসী পানেনকা শটে বল জড়িয়ে দিলেন জালে। ঠিক দুই মিনিট পর গোলকিপারকে কাটিয়ে খালি পোস্টে বল ঠেলে দিয়ে করলেন নিজের দ্বিতীয় গোল। এ নিয়ে সাত ম্যাচে মোট ৯ গোল করলেন। যা রিয়াল জার্সিতে নতুন মৌসুমে তার আগুনঝরা সূচনার ইঙ্গিত।

লা লিগায় একমাত্র দল হিসেবে প্রথম ছয় ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরই মধ্যে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগও শুরু করেছে জয়ে, মার্সেইকে হারিয়ে। সর্বশেষ এই জয় তাদের বার্সেলোনার চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে দিলো। আগামী বৃহস্পতিবার নবপ্রমোটেড ওভিয়েদোর মাঠে খেলতে নামবে শিরোপাধারীরা।

লেভান্তে যদিও মৌসুম শুরু করেছিল টলমলে পায়ে। তবে গত ম্যাচে ৪-০ গোলে জিরোনাকে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে ছিল। কিন্তু রিয়ালের বিপক্ষে সেই আত্মবিশ্বাস আর টিকল না।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ফ টবল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

কোচ গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচের আগে যা জানতে পারেন

রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই ম্যাচেই কোচ হিসেবে এক অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন পেপ গার্দিওলা—এটাই হবে তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ।

২০০৭ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের দায়িত্ব নিয়ে কোচিং শুরু করেছিলেন গার্দিওলা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি পরিচালনা করেছেন ৯৯৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে জয় এসেছে ৭১৫টিতে, হার মাত্র ১২৮টিতে।

বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে কোচ হিসেবে গার্দিওলা জিতেছেন ১২টি লিগ শিরোপা ও ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। এ ছাড়া তাঁর গৌরবময় ক্যারিয়ারে আছে আরও ১৪টি ঘরোয়া কাপ শিরোপা।

আরও পড়ুনরেকর্ড গড়ার পর গার্দিওলা বললেন, ‘ফার্গুসন–ওয়েঙ্গারকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানাব’০৬ অক্টোবর ২০২৫

বিবিসি স্পোর্ট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কত ম্যাচ জিতেছেন, জানেন কি না। গার্দিওলা হেসে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই জানি, অনেক। সংখ্যাগুলো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি সংখ্যাগুলো নিয়ে ভাবি না। কিন্তু যখন এমন মাইলফলক আসে এবং আমি করেছি তা লেখা হয়, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগেও—তখন বোঝা যায় বার্সেলোনা, বায়ার্ন আর এখানেও অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি।’

গার্দিওলা আরও বলেন, ‘এমন স্তরে পৌঁছানো খুব কঠিন। যদি আবার শুরু করতাম, হয়তো কখনোই এত দূর যেতে পারতাম না। এটা অনেক বড় পথ। প্রায় ১০০০ ম্যাচের মধ্যে অল্প কিছু ম্যাচে হেরেছি। আশা করি, রোববারও আমরা জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারব।’

গার্দিওলার এই মাইলফলককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ক্যারিয়ারে দুই হাজারের বেশি ম্যাচ পরিচালনা করা ফার্গুসন বলেছেন, ‘পেপ! আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাকে লিগ ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) হল অব ফেমের ১০০০ ক্লাবে স্বাগত জানানোর সুযোগ পাচ্ছি।

খেলার প্রতি আপনার ভালোবাসা ও আবেগ সব সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আপনি যেভাবে বিশ্বের ফুটবলে অবিস্মরণীয় প্রভাব রেখে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আপনার গর্বিত হওয়া উচিত। ১০০০টি ম্যাচে পৌঁছানো এবং ফুটবলে এমন দীর্ঘস্থায়িত্ব অর্জন করা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ