যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের (ইউএসএসি) সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সদস্য হিসেবে ‘বারবার ও ধারাবাহিকভাবে’ বাধ্যবাধকতা অমান্য করায় এ শাস্তি পেল যুক্তরাস্ট্র ক্রিকেট। এক বছর ধরে বিষয়টি পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার পর গতকাল আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকবাজ’ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট কার্যকর পরিচালনাব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি দেশের অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটির স্বীকৃতি অর্জনে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি এবং বারবার এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে, যা ক্রিকেটের ‘সুনাম ক্ষুণ্ন’ করেছে। এসব কারণে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ আয়োজন এবং প্রশাসনিক সংস্কার পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। এর দুই মাসের একটু বেশি সময় পরই শাস্তি পেল যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট (ইউএসএসি)।

তবে এ শাস্তির পরও যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দল আইসিসি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে। ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দল। হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম ও খেলোয়াড়দের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে খেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আইসিসি ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিরা আপাতত যুক্তরাষ্ট্র দলের ব্যবস্থাপনা দেখভাল করবেন।

আরও পড়ুনএশিয়া কাপ: ফাইনালে উঠতে কোন দলের এখন কী হিসাব৩৯ মিনিট আগে

আইসিসির ব্যবস্থাপনায় একটি স্বাভাবিকীকরণ কমিটি সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করবে, যেন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট আবারও সদস্যপদ ফিরে পেতে পারে। এ সংস্কার কার্যক্রমে রয়েছে শাসনব্যবস্থা, কার্যক্রম ও কাঠামোগত পরিবর্তন। পুরো পরিবর্তনপ্রক্রিয়া তদারকি ও সহায়তার দায়িত্বও পালন করবে স্বাভাবিকীকরণ কমিটি।

আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্থগিতাদেশ দুঃখজনক হলেও খেলার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রক্ষায় এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’ যুক্তরাষ্ট্রে খেলোয়াড়দের সুরক্ষা ও ক্রিকেটের বিকাশে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে আইসিসি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ক র ক ট ব যবস থ আইস স র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কোচ গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচের আগে যা জানতে পারেন

রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই ম্যাচেই কোচ হিসেবে এক অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন পেপ গার্দিওলা—এটাই হবে তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ।

২০০৭ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের দায়িত্ব নিয়ে কোচিং শুরু করেছিলেন গার্দিওলা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি পরিচালনা করেছেন ৯৯৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে জয় এসেছে ৭১৫টিতে, হার মাত্র ১২৮টিতে।

বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে কোচ হিসেবে গার্দিওলা জিতেছেন ১২টি লিগ শিরোপা ও ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। এ ছাড়া তাঁর গৌরবময় ক্যারিয়ারে আছে আরও ১৪টি ঘরোয়া কাপ শিরোপা।

আরও পড়ুনরেকর্ড গড়ার পর গার্দিওলা বললেন, ‘ফার্গুসন–ওয়েঙ্গারকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানাব’০৬ অক্টোবর ২০২৫

বিবিসি স্পোর্ট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কত ম্যাচ জিতেছেন, জানেন কি না। গার্দিওলা হেসে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই জানি, অনেক। সংখ্যাগুলো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি সংখ্যাগুলো নিয়ে ভাবি না। কিন্তু যখন এমন মাইলফলক আসে এবং আমি করেছি তা লেখা হয়, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগেও—তখন বোঝা যায় বার্সেলোনা, বায়ার্ন আর এখানেও অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি।’

গার্দিওলা আরও বলেন, ‘এমন স্তরে পৌঁছানো খুব কঠিন। যদি আবার শুরু করতাম, হয়তো কখনোই এত দূর যেতে পারতাম না। এটা অনেক বড় পথ। প্রায় ১০০০ ম্যাচের মধ্যে অল্প কিছু ম্যাচে হেরেছি। আশা করি, রোববারও আমরা জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারব।’

গার্দিওলার এই মাইলফলককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ক্যারিয়ারে দুই হাজারের বেশি ম্যাচ পরিচালনা করা ফার্গুসন বলেছেন, ‘পেপ! আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাকে লিগ ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) হল অব ফেমের ১০০০ ক্লাবে স্বাগত জানানোর সুযোগ পাচ্ছি।

খেলার প্রতি আপনার ভালোবাসা ও আবেগ সব সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আপনি যেভাবে বিশ্বের ফুটবলে অবিস্মরণীয় প্রভাব রেখে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আপনার গর্বিত হওয়া উচিত। ১০০০টি ম্যাচে পৌঁছানো এবং ফুটবলে এমন দীর্ঘস্থায়িত্ব অর্জন করা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ