সৌদি আরবের নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হলেন সালেহ বিন আব্দুল্লাহ
Published: 24th, September 2025 GMT
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় পদ ‘গ্র্যান্ড মুফতি’ হিসেবে ড. সালেহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পূর্ববর্তী গ্র্যান্ড মুফতি ড. শেখ আব্দুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল-শেখের ইন্তেকালের পরই এই গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
আজ বুধবার সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইনসাইড দ্য হারাম। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, সৌদির রাজকীয় আদালত শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।
আরো পড়ুন:
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল-শেখের ইন্তেকাল
সৌদি আরবে ফেনীর যুবক অপহৃত, ভিডিও পাঠিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি
গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগলাভের পূর্বে সালেহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ ইসলামী বিশ্বের দুটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। প্রথমত, তিনি ১৯৮২ সাল থেকে পবিত্র মসজিদুল হারামের একজন সিনিয়র ও সম্মানিত ইমাম এবং খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বিতীয়ত, তিনি মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির ইমাম ও খতিবদের তত্ত্বাবধানকারী ‘প্রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স’ পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে সৌদি আরবের অ্যাসেম্বলির সদস্য এবং ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মজলিস আল শুরার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সালেহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ সৌদি আরবের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আলেম, যিনি একাধারে বিচারক, শিক্ষাবিদ, ও ইসলামি চিন্তাবিদ হিসেবেও সুপরিচিত।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি জ্ঞান, হিকমাহ এবং বিচার বিভাগীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। তার বক্তৃতা, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ চিন্তা তাকে মুসলিম বিশ্বের কাছে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স দ আরব আরব র
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাক্সিম গোর্কির আবাসস্থলে
মস্কোর আকাশে আজ মেঘ ঘনিয়েছে। সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। এমনিতে গরমকাল, তবে বৃষ্টি পড়ার কারণে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসছে। মস্কোতে আমার দিনগুলো উড়ে উড়ে পার হয়ে যাচ্ছে। অল্প দিন হাতে আছে রাশিয়ায়। এর মাঝে কত কিছু যে দেখার বাকি!
আমি এসেছিলাম আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বাড়িতে। রাশিয়ার বিখ্যাত এই লেখক পাঁচবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েও পুরস্কার জেতেননি। এমন অসামান্য লেখকের প্রাসাদতুল্য বাড়ির সামনে এসে দেখি দুয়ার তালাবদ্ধ। আজ আর দুয়ার খুলবে না। দোতলা এই বাড়িটিতে লেখক জীবনের শেষ কয়েক বছর বসবাস করেছিলেন। বাড়ির সামনে প্রশস্ত আঙিনা। সেখানে উঁচু উঁচু গাছ অন্য পাশ থেকে বাড়িকে ঢেকে দিয়েছে। বাড়ির চারপাশ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা।
প্রাচীন এই বাড়ির আশপাশে ঘুরেফিরে আবার ফিরে গেলাম। আজ তিনি দুয়ার না খুললে কাল নিশ্চয়ই খুলবেন। রাশিয়ার অন্যান্য বিখ্যাত লেখকের বাড়ির মতো তাঁর বাড়িটিকেও মিউজিয়াম করে রাখা হয়েছে। ঊনবিংশ শতকে রাশিয়ায় জনপ্রিয়তা পেলেও আমাদের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তিনি আজ অবধি সবচেয়ে জনপ্রিয় রুশ লেখক।
আগের দিন লেখকের হাউস মিউজিয়াম বন্ধ ছিল। তাই দুয়ার থেকে ফিরে যেতে হয়েছিল। কিন্তু আমি হচ্ছি বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী ধরনের মানুষ। এত সহজে এ বাড়ি না দেখে আমি মস্কো ছাড়ব না।
আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভের বয়স যখন চব্বিশ তখন এক পত্রিকায় লেখা পাঠানোর সময় আলেক্সেই লেখকের নামে নিজের নাম লেখেন ‘ম্যাক্সিম গোর্কি’। রুশ ভাষায় ম্যাক্সিম শব্দের অর্থ—তিক্ত। জীবনের কঠিন বাস্তবতা আর তিক্ততার স্বাদ অল্প বয়সে গ্রহণ করায় তিক্ত নামেই পরবর্তীকালে তিনি বিখ্যাত হয়েছেন।আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভ ১৮৬৮ সালে রাশিয়ার নিঝনি নভোগরদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। এগারো বছর বয়সে অনাথ হয়ে যাওয়ার পর দিদিমা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাখেন। কিন্তু বারো বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালান। এরপর বছর পাঁচেক রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ান। কখনো পেট চালানোর জন্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কাজ করতে হয়েছে। পথেই থাকতে হয়েছে। এ সময়ে আলেক্সেই মুচির কাজও করেছিলেন।
ম্যাক্সিম গোর্কির বাড়ি