সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় পদ ‘গ্র্যান্ড মুফতি’ হিসেবে ড. সালেহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পূর্ববর্তী গ্র্যান্ড মুফতি ড. শেখ আব্দুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল-শেখের ইন্তেকালের পরই এই গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

আজ বুধবার সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইনসাইড দ্য হারাম। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, সৌদির রাজকীয় আদালত শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।  

আরো পড়ুন:

সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল-শেখের ইন্তেকাল

সৌদি আরবে ফেনীর যুবক অপহৃত, ভিডিও পাঠিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি

গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগলাভের পূর্বে সালেহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ ইসলামী বিশ্বের দুটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। প্রথমত, তিনি ১৯৮২ সাল থেকে পবিত্র মসজিদুল হারামের একজন সিনিয়র ও সম্মানিত ইমাম এবং খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বিতীয়ত, তিনি মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির ইমাম ও খতিবদের তত্ত্বাবধানকারী ‘প্রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স’ পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। 

তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে সৌদি আরবের অ্যাসেম্বলির সদস্য এবং ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মজলিস আল শুরার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন।

সালেহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ সৌদি আরবের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আলেম, যিনি একাধারে বিচারক, শিক্ষাবিদ, ও ইসলামি চিন্তাবিদ হিসেবেও সুপরিচিত। 

তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি জ্ঞান, হিকমাহ এবং বিচার বিভাগীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। তার বক্তৃতা, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ চিন্তা তাকে মুসলিম বিশ্বের কাছে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স দ আরব আরব র

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় শিশুশিক্ষার্থী নিহত, বাসে আগুন

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় বাসের ধাক্কায় এক মাদ্রাসাছাত্রী নিহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রান্ধুনীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের বেতকা-সিরাজদিখান সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বাসটিতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা।

নিহত আরবী (৬) বেতকা ইউনিয়নের রান্ধুনীবাড়ি এলাকার আলমগীরের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নূরানী শাখার ছাত্রী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল আরবী। এ সময় একটি বাস টঙ্গিবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরবীকে চাপা দেয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরপর বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে যান। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন যাত্রীদের নামিয়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে ঘণ্টাখানেক ধরে সিরাজদিখান-বেতকা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বাসটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, স্বজনেরা শিশুটির লাশ বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ