ইচ্ছা করলেই সরকারের পক্ষে হজের খরচ কমানো সম্ভব নয়:
Published: 24th, September 2025 GMT
ইচ্ছা করলেই সরকারের পক্ষে হজের খরচ কমানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বুধবার রাজধানীর আশকোনায় ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজ ২০২৬-এ সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘‘হজের খরচ কমানোর বিষয়ে জনসাধারণের জোরালো দাবি আছে। কিন্তু ইচ্ছা করলেই সরকারের পক্ষে হজের খরচ কমানো সম্ভব নয়। বিশেষ করে সৌদি আরবে সেদেশের সরকারের নির্ধারিত খরচ আমরা কমাতে পারি না। আমরা শুধু বিমানভাড়া ও বাড়িভাড়া নিয়ে কিছুটা দর কষাকষি করতে পারি। বিমানভাড়া যৌক্তিকভাবে নিরূপণের লক্ষ্যে আমরা তৎপর আছি।’’
হজযাত্রীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘গত বছর প্রায় ২৭ হাজার টাকা বিমানভাড়া কমানো হয়েছিল। এবারও বিমানভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’’
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘‘হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই। সরকার হজ নিয়ে ব্যবসা করে না, বরং সরকারি মাধ্যমে হজ প্যাকেজের অব্যয়িত অর্থ হাজীদের ফেরত দিয়ে থাকে। এ বছর আমরা সরকারি মাধ্যমের হাজীদের ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি।’’
ড.
তিনি সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী বৃদ্ধিতে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের আরো তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানান।
ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগ্মসচিব (হজ) ড. মঞ্জুরুল হক বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আয়াতুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মু: আ: আউয়াল হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খান উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দিনব্যাপী এ কর্মশালায় আয়োজক মন্ত্রণালয়, ঢাকা হজ অফিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
পরে উপদেষ্টা ঢাকা কলেজে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হজয ত র সরক র র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
হেফাজতকে কাছে পেতে তৎপর বিএনপি
অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে কাছে পেতে তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের নির্বাচনী সমঝোতা করতে যাচ্ছে। এখানে কয়েকটি দল আছে হেফাজতে ইসলাম-সংশ্লিষ্ট। তারা অভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
এমন পটভূমিতে নির্বাচন সামনে রেখে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিএনপি যোগাযোগও বাড়িয়েছে। আবার হেফাজতের আমিরও এর মধ্যে কয়েকটি বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
সব মিলিয়ে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ‘ভোটব্যাংক’ লক্ষ্য করে রাজনৈতিক দলগুলোর হেফাজতকেন্দ্রিক আগ্রহ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের নির্বাচনী সমঝোতা করতে যাচ্ছে। এখানে কয়েকটি দল আছে হেফাজতে ইসলাম-সংশ্লিষ্ট। তারা অভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় হেফাজতের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে গত ১ আগস্ট বিএনপির দুই নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ ও নজরুল ইসলাম খান চট্টগ্রামে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ চার নেতা ‘আল্লামা শাহ আহমাদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী ও আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্ব, ত্যাগ ও সংগ্রাম’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্সে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গত শনিবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে