বিসিবি নির্বাচন নিয়ে ক্রিকেটাররা একাট্টা
Published: 24th, September 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে ঘিরে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সেইসবের বিরুদ্ধে একাট্টা ক্রিকেটাররা। মাঠের ক্রিকেট এখন কোর্ট-কাছারির বারান্দায়! একাধিক পক্ষের মধ্যে চলছে কাদা ছোরাছুরি।
নির্বাচনের তফশিল একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হলেও তা নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা। বিসিবির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার নিজেও হয়েছেন কাউন্সিলর। ভোটার তালিকায় ৬টি জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধির জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। এছাড়াও কাউন্সিলর তালিকায় রাখা হয়নি ১৫টি ক্লাব। এসব নিয়ে তুমুল সমালচনার ভেতরে ক্রিকেটাররা এক ছাতার নিচে এসেছেন।
আরো পড়ুন:
৬ জেলা ও ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলর ছাড়া খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ
দুই দিন পেছাল বিসিবি নির্বাচন
ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি মোহাম্মাদ মিথুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা যা হচ্ছে, এসব কখনোই কাম্য নয়। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের ব্যাপার। আমরা চাই, বিসিবি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।’
একই পোস্ট শেয়ার করেছেন তাইজুল, মুমিনুল, শামসুর, ইরফান। জাতীয় দলের সাবেক পেসার রুবেল হোসেন লিখেছেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্ট আসা-যাওয়া যেন ক্রিকেটের টসের মতো। কখন কার ভাগ্য জোটে বলা মুশকিল। সুন্দর পরিবেশে ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচন হোক স্বচ্ছ কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা, শত্রুতা নয়। যেখানে জয়ী হবে কেবল ক্রিকেট।’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘মেরিনার কাজে প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়’
স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল বলেছেন, ‘মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।’
সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার পান মেরিনা তাবাশ্যুম। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্যাপন করতে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নাহাস আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচারের চেয়ারপারসন জয়নব ফারুকি আলী বলেছেন, ‘স্থাপত্য মানুষের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কী অসাধারণভাবে মিশে যায়, মেরিনা তাবাশ্যুম সেটার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর ঢাকার দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদে। ২০১৬ সালে যখন মসজিদটির উদ্বোধনে যাই, তখন মসজিদটির মোয়াজ্জিনের কাছে জানতে চাই, এ মসজিদের কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে। মোয়াজ্জিন বলেছিলেন, “আমার এখান থেকে আজান দিতে ভালো লাগে।”’
মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল।গতকাল ‘বিটুইন ইরোজন অ্যান্ড ইমার্জেন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আর্কিকানেক্টের সহযোগিতায় সিরামিক বাংলাদেশ ম্যাগাজিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্কিকানেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্থপতি জালাল আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম বলেন, ‘মসজিদের প্রকল্পটি ছিল ব্যক্তিগত। নানির দান করা জায়গায় ২০০৬ সালে এ মসজিদটির ডিজাইন শুরু করি। এটিকে শুধু মসজিদ হিসেবে না দেখে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যুক্ত করে মোর দ্যান মস্ক (মসজিদের চেয়েও বেশি কিছু) হিসেবে দেখার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠান কথা বলছেন স্থাপতি মেরিনা তাবাশ্যুম