সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুর আগে ৬০ ঘণ্টার ইনক্লুসিভ ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল মালিক সমিতি।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এই দাবিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি প্রদান করেন সমিতির আহ্বায়ক মো.

মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিআরটিএর নিবন্ধিত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলগুলোকে এই ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করলে চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বাড়বে। এতে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে।

বর্তমানে দেশে বিআরটিএ নিবন্ধিত ১৫০টি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল রয়েছে, যার মধ্যে ১৩৫টি বেসরকারিভাবে পরিচালিত। এসব স্কুলে ৩০০ জন ইনস্ট্রাকটর কাজ করছেন। অবকাঠামোগত সহায়তা পেলে এসব প্রতিষ্ঠান বছরে অন্তত ১০ হাজার দক্ষ ও নিরাপদ চালক তৈরি করতে পারবে বলে দাবি করেছেন সমিতির নেতারা। এছাড়া, বিআরটিসি এবং ব্র্যাক পরিচালিত আরো কয়েকটি ড্রাইভিং স্কুল ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে আধুনিক ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে চায় তারা।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘মেরিনার কাজে প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়’

স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল বলেছেন, ‘মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।’

সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার পান মেরিনা তাবাশ্যুম। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্‌যাপন করতে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নাহাস আহমেদ।

মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচারের চেয়ারপারসন জয়নব ফারুকি আলী বলেছেন, ‘স্থাপত্য মানুষের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কী অসাধারণভাবে মিশে যায়, মেরিনা তাবাশ্যুম সেটার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর ঢাকার দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদে। ২০১৬ সালে যখন মসজিদটির উদ্বোধনে যাই, তখন মসজিদটির মোয়াজ্জিনের কাছে জানতে চাই, এ মসজিদের কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে। মোয়াজ্জিন বলেছিলেন, “আমার এখান থেকে আজান দিতে ভালো লাগে।”’

মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল।

গতকাল ‘বিটুইন ইরোজন অ্যান্ড ইমার্জেন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আর্কিকানেক্টের সহযোগিতায় সিরামিক বাংলাদেশ ম্যাগাজিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্কিকানেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্থপতি জালাল আহমেদ।

মেরিনা তাবাশ্যুম বলেন, ‘মসজিদের প্রকল্পটি ছিল ব্যক্তিগত। নানির দান করা জায়গায় ২০০৬ সালে এ মসজিদটির ডিজাইন শুরু করি। এটিকে শুধু মসজিদ হিসেবে না দেখে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যুক্ত করে মোর দ্যান মস্ক (মসজিদের চেয়েও বেশি কিছু) হিসেবে দেখার চেষ্টা করেছি।’

অনুষ্ঠান কথা বলছেন স্থাপতি মেরিনা তাবাশ্যুম

সম্পর্কিত নিবন্ধ