জাতিসংঘে তিনটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার শিকার হওয়ার দাবি ট্রাম্পের
Published: 25th, September 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তিনটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, তাকে হেনস্তা করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। খবর এবিসি নিউজের।
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট করেছেন।
আরো পড়ুন:
সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় মার্কিন হামলা ‘স্বৈরাচারী কাজ’: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পোস্টে তিনি লিখেন, “মঙ্গলবার জাতিসংঘে যা ঘটেছে, তা খুবই লজ্জার। একটি বা দুটি ঘটনা নয়, তিন তিনটি খারাপ ঘটনা ঘটেছে। প্রথমত, যে এসকেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) ব্যবহার করে মূল তলায় যাচ্ছিলাম, তা একটা বিকট শব্দ করে হঠাৎ থেমে যায়। ভাগ্য ভালো যে, আমি আর মেলানিয়া ওই স্টিলের সিঁড়ির ধারালো কোণায় পড়ে যাইনি। আমরা দুজনেই হ্যান্ডরেলটা শক্ত করে ধরেছিলাম, অন্যথায় ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারত। এটা পরিষ্কার অন্তর্ঘাত ছিল, কারণ এর আগের দিনই দ্য লন্ডন টাইমস-এর একটি পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, জাতিসংঘের কর্মীরা এসকেলেটর বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে মজা করছিল। যারা এটা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত।”
ট্রাম্প আরো যোগ করেন, “এরপরে জাতিসংঘের মঞ্চে বক্তব্যের জন্য আমি যখন দাঁড়িয়ে, আমার টেলিপ্রম্পটার কাজ করা বন্ধ করে দিল। বাহ, কী দারুন জায়গায় গেলাম। প্রথমে এসকেলেটর বন্ধ, তারপরেই টেলিপ্রম্পটার বন্ধ। তৃতীয়ত, টেলিপ্রম্পটার ছাড়াই ১৫ মিনিট দারুণ ভাষণ দেওয়ার পরে জানতে পারলাম অডিটরিয়ামের সাউন্ড বন্ধ। মেলানিয়াকে যখন বললাম, কেমন হলো ভাষণ? ও বলল, তুমি কী বললে, সেটা আমি শুনতেই পাইনি। এটা কাকতালীয় হতেই পারে না।”
ট্রাম্প জানান, এটা স্পষ্ট ‘অন্তর্ঘাত’। জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। দ্রুত এর তদন্তের দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, ট্রাম্পের এই অভিযোগের বিষয়ে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ভিন্ন কথা বলেছেন। তারা জানান যে, এসকেলেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে সম্ভবত ট্রাম্পের নিজস্ব ফটোগ্রাফার জড়িত ছিলেন। তিনি হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে এসকেলেটরের উপরের দিকে থাকা থামানোর বোতামটি প্রেস করেছিলেন।
টেলিপ্রম্পটারটি হোয়াইট হাউজ সরবরাহ এবং নিয়ন্ত্রণ করছিল, তাই এ ব্যাপারে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতিসংঘের কর্মকর্তা জানান যে, সাউন্ড সিস্টেমটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে শ্রোতারা তাদের আসনে বসে ইয়ারপিসের মাধ্যমে ছয়টি ভিন্ন ভাষায় ভাষণ শুনতে পান। তিনি ট্রাম্পের দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে চৌমুহনী বাজার মুজিবুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারতে গিয়েছেন। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে—সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে তা জাতির কাছে পরিষ্কার করতে হবে। জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলার মানুষ এই দেশ থেকে তাড়িয়েছে। ভারতের আধিপত্যবাদ ও বশ্যতা বাংলার মানুষ আর কখনোই গ্রহণ করবে না। এই অন্তর্বর্তী সরকার যদি ভারতের অন্যায় কোনো আবদারে এবং অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতি নতি স্বীকার করতে চায়, তাহলে আপনাদের পরিণতিও শুভ হবে না। জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির ফাঁদে পা দিয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘একটি দল সংস্কার চাচ্ছে না। তারা পুরোনো বস্তাপচা নিয়মে নির্বাচন করতে পাঁয়তারা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারও ওই দলের ফাঁদে পা দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। যদি সংস্কার না হয়, শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। সে জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি। সরকার গণভোট দেবে বলেছে, কিন্তু প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাদের বুঝতে হবে, এই দুটো নির্বাচন এক জিনিস নয়। কিন্তু ওই দলটি আলাদা গণভোট চায় না। কারণ, ডাকসু, চাকসু, জাকসু ও রাকসুর নির্বাচনের ফলাফল। জনগণ সংস্কারের পক্ষে। জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি গণভোট হয়, তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ লোক আমাদের পক্ষে রায় দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ শাহজাহান। আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহাব উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, চৌদ্দগ্রাম পৌর আমির মাওলানা মু. ইব্রাহীম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন, কুমিল্লা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।