খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ভারতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর করা মন্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি।

আজ শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া জানতে চান এক সাংবাদিক। তখন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এ কথা বলেন।

রণধীর জয়সোয়ালের কাছে ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ‘বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারতের সমর্থনেই খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আপনার তরফ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলবেন কি?’

জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘আমরা এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নিয়মিতভাবে সেই দায় অন্যের ওপর চাপানোর প্রবণতা দেখিয়ে আসছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের আত্মসমালোচনা করা উচিত বলেও এ সময় মন্তব্য করেন রণধীর জয়সোয়াল। তিনি আরও বলেন, ‘তাদের জন্য এখন যথোপযুক্ত হবে আত্মসমালোচনার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় উগ্রপন্থীদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ভূমি দখলের ঘটনাগুলো গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা।’

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ-সহিংসতাকে কেন্দ্র করে গত রোববার খাগড়াছড়িতে গুলিতে তিনজন নিহত হন। ১৩ সেনাসদস্য, ৩ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ২০ জন।

সহিংসতার ঘটনার পরদিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, একটি মহল খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। ভারত বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রণধ র জয়স য় ল র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রাম বদলে দিয়েছে সিনেমা, স্বীকৃতি পেলেন পরিচালক ডায়মন্ড

শিল্প কখনো কখনো কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়—এটি সমাজ ও অঞ্চলের রূপান্তরেও ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় ঘটেছে তেমনই একটি ঘটনা। একটি সিনেমা বদলে দিয়েছে একটি গ্রামের পরিচিতি, আর সেই পরিবর্তনের স্বীকৃতি পেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। 

১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি নাচোলে সংঘটিত ইলা মিত্রের নেতৃত্বে কৃষক–সাঁওতাল বিদ্রোহের কাহিনি অবলম্বনে ডায়মন্ড নির্মাণ করেন ‘নাচোলের রানী’ সিনেমা। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি নাচোলকে নতুন করে পরিচিত করে বিশ্বজুড়ে। সিনেমার শুটিং স্পটকে কেন্দ্র করে ইলা মিত্রের নামে গড়ে ওঠে সংগ্রহশালা, যা এখন গ্রামীণ পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ। 

আরো পড়ুন:

‘সোলজার’-এ শাকিবের বিপরীতে তানজিন তিশার ফার্স্টলুক প্রকাশ

ফের বিজ্ঞাপনচিত্রে শাকিব খান

গ্রামবাসী পরিচালক ডায়মন্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে যাননি। তারই অংশ হিসেবে ১৬ নভেম্বর সংগ্রহশালার পাশে স্থাপন করা হয়েছে একটি স্বীকৃতি ফলক, যা উন্মোচন করেছেন কৃষক সমাজের প্রতিনিধি জিল্লুল রহমান এবং সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি বিধান সিং। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে গ্রামবাসী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন। 

স্বীকৃতির মুহূর্তে আবেগপ্রবণ ডায়মন্ড বলেন, “জীবদ্দশায় এমন স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই দুর্লভ এবং আবেগঘন।” 

এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টে দিয়েছেন ডায়মন্ড। তাতে তিনি লিখেছেন, “নাচোলের রানী মুক্তির পর নাচোল বিশ্বব্যাপী নতুন পরিচিতি পায়। দুই দশক পর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই ফলক স্থাপন সত্যিই গর্বের।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ