আহমদ রফিকের প্রয়াণে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক
Published: 3rd, October 2025 GMT
ভাষাসংগ্রামী, লেখক ও রবীন্দ্র গবেষক আহমদ রফিকের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক শোকবার্তায় বলেন, “তার মৃত্যুতে দেশ এক কৃতি সূর্যসন্তানকে হারাল।”
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, “সাম্যভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি নির্মাণে আহমদ রফিক গত সাত দশক ধরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। লেখক ও রবীন্দ্র গবেষক হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করলেও, কোনো পুরস্কার বা স্বীকৃতি তাকে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। মানবিকতা ও নীতির প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল ও আপসহীন।”
তিনি বলেন, “স্বল্পভাষী ও অহংকারবর্জিত এই মানুষটি আগামী অনেক প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে আহমদ রফিকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও গুণমুগ্ধদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার জন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দাবি জানিয়েছে নাগরিক কোয়ালিশন। শনিবার কোয়ালিশনের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম নাগরিক কোয়ালিশন। বিবৃতিতে এই কোয়ালিশন বলেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত সম্মেলনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য ও হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেশের কিছু বড় ও মূলধারার রাজনৈতিক দল আসন্ন নির্বাচনে ভোটের প্রতিযোগিতায় তুষ্টিবাদী রাজনীতির অংশ হিসেবে আহমদিয়াদের প্রতি বিষোদ্গার করছে। এটি খুবই আশঙ্কাজনক ব্যাপার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছি, এই সংকটকালে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনকে অস্থিতিশীল করতে পারে এমন যেকোনো গোষ্ঠীর ব্যাপারে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে; বিশেষ করে যারা ধর্মকে অবলম্বন করে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।’
দেশের অন্য যেকোনো নাগরিকের মতোই সংবিধানে আহমদিয়াদের ধর্ম পালনের অধিকার সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত রয়েছে বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য এই অধিকার রক্ষায় আমরা অবিচল থাকব।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো শ্রেণি, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিসত্তা এবং ধর্মীয় পরিচয়–নির্বিশেষে সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা বিষয়ে সরব থাকা। আমরা বিশ্বাস করি, এই মৌলিক সাম্যই হতে হবে জুলাই ২০২৪–পরবর্তী বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর।’
আরও পড়ুনখতমে নবুওয়তের মহাসম্মেলন থেকে ১ দফা দাবিতে বছরজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা৮ ঘণ্টা আগে