আলোচনায় নুহাশ হুমায়ূনের ফেসবুক পোস্ট
Published: 5th, October 2025 GMT
প্রয়াত কথাসাহিত্যক হুমায়ূন আহমেদ। কয়েক দিন আগে তার প্রাক্তন স্ত্রী গুলতেকিন খান তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেন। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় পোস্টটি। চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নেয় বিষয়টি। নেটিজেনরাও কয়েকটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে যান, চলতে থাকে তর্ক-বিতর্ক।
এ পরিস্থিতিতে নীরব ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের পুত্র নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন। এ নিয়ে কোথাও সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গতকাল রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই পরিচালক। যদিও ইঙ্গিতপূর্ণ এই পোস্টে বাবা-মায়ের প্রসঙ্গ সরাসরি আনেননি তিনি। তবে নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বাগদানের পরও রাশমিকার প্রথম বিয়ে কেন ভেঙেছিল?
কানতারা টু: ৩ দিনে আয় ২৯৯ কোটি টাকা
নুহাশ হুমায়ূন তার স্ট্যাটাসে লেখেন, “আপনি একজন শিল্পী বা সৃষ্টিশীল ব্যক্তিকে তাদের কাজের জন্য ভালোবাসতে পারেন। একইসঙ্গে স্বীকারও করতে পারেন যে, তারা ব্যক্তিগত জীবনে ভুলে ভরা বা ত্রুটিপূর্ণ ছিলেন। এই দুটি বাস্তবতাই একসঙ্গে সত্য হতে পারে।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে নুহাশ হুমায়ূন লেখেন, “মানুষ জটিল এবং অসম্পূর্ণ (যেমন: আপনার প্রিয় উপন্যাসের সেরা চরিত্রগুলো)। কেউ কেউ লাখ লাখ মানুষকে আনন্দ দিতে পারেন; কিন্তু কাছের মানুষদের কষ্টও দিতে পারেন। সমাধান এটা নয় যে, যারা আঘাত পেয়েছেন তাদের কণ্ঠ রোধ করে দিতে হবে। আবার সমাধান এটাও নয় যে, মৃতদের প্রতি অসম্মান দেখাতে হবে।”
নুহাশ হুমায়ূনের এ পোস্টে রিঅ্যাকশন পড়েছে প্রায় ৯ হাজার। তবে তার ফেসবুকে কমেন্ট সেকশন পাবলিক করা নেই। তবু বেশ কিছু মন্তব্য জমা পড়েছে। যাদের বড় একটি অংশ নুহাশকে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ তার বক্তব্যকে ‘একপেশে’ বলছেন।
সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দিন লেখেন, “একেবারেই তাই।” ফাতেমা ইসলাম লুবনা লেখেন, “ভুক্তভোগীদের সবসময়ই কথা বলা উচিত। যদি তা ৫০ বছর পরেও হয়। তাদের কখনো চুপ করিয়ে দেওয়া উচিত নয়। পারিবারিক সহিংসতা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। আমাদের সেই সব গল্প শুনতে হবে এবং বছরের পর বছর ধরে তারা যে কষ্ট সহ্য করেছেন, তা স্বীকার করে নিতে হবে।”
অর্চি নাঈমা রুকু নামে একজন লেখেন, “আমাদের কাছে আবেগগত বুদ্ধিমত্তা নেই। বরং আমাদের আছে, ‘আবেগগত অশিক্ষা’।” নুর ই মুস্তারি নামে একজন লেখেন, “আপনি যেভাবে আপনার মাকে সমর্থন করেন, তা দারুণ।”
এই মন্তব্য নুহাশ হুমায়ূনের নজরেও পড়েছে। জবাবে এই পরিচালক লেখেন, “মৃত্যুর দিন পর্যন্ত আমি তাকে (মা) সমর্থন করে যাব। কিন্তু সেটা যেন আমার বাবার প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে ভুল না বোঝা হয়। আমি দুজনের প্রতিই কৃতজ্ঞ এবং তাদের কেউ একজন না থাকলে আমি আজকের আমি হতে পারতাম না। আমি গর্বের সঙ্গে আমার নাম বহন করি।” নুহাশ হুমায়ূনের এই মন্তব্যে রিঅ্যাক্ট পড়েছে প্রায় ছয় শ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নিজের প্রতি ‘অবহেলার অভ্যাস’ কাটিয়ে উঠুন
আপনি হয়তো মনে প্রাণে একজন সুপার মা, সুপার স্ত্রী, সুপার পেশাজীবী কিংবা সুপার নারী হতে চাচ্ছেন। সবকিছুতে পারফেক্ট হতে গিয়ে হয়তো নিজের দিকেই খেয়াল করার সময় পাচ্ছেন না। নিজেকে অবহেলা করা হয়তো আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে! ভেবে দেখেছেন কী—আপনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে কী হবে? সব কিছু থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া ছাড়া আপনার হাতে আর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট থাকবে না। তাই ঘর গুছিয়ে নেওয়ার আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিন। ব্যায়াম করার জন্য সময় ও সুযোগ বের করুন। মাঝে মধ্যে নিজের শখগুলোকে প্রাধান্য দিন। কখনও একটি আইসক্রিম শুধু নিজের জন্য কিনুন। নিজেকে ভালোবাসতে ভুল করবেন না যেন! আপনি যদি মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন—দেখবেন আর কোথাও ‘পারফেকশনিজম’ টিকিয়ে রাখতে পারছেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন. ‘পারফেকশনিজম’ আপনার মনের ভীতি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন:
পাখি কেন ভি আকারে ওড়ে
ছোট মগে নাকি বড় মগে কফি পান করা ভালো?
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ও উইসকনসিনের স্টেটস অব ওয়েলনেস কাউন্সেলিংয়ের একজন সাইকোথেরাপিস্ট শ্যানন গার্সিয়া বলেছেন, ‘‘পারফেকশনিজম হলো এক ধরনের উদ্বেগ। এটি এলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা আপনার ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার বদলে পিছিয়ে দিতে পারে। দেখা যায়, আপনি হয় ভয়ে কাজগুলো এড়িয়ে চলতে শুরু করেছেন—এই ভেবে যে, হয়তো নিখুঁতভাবে কাজটি আর করাই হয়ে উঠবে না। কিংবা আপনি কোনো একটি কাজ নিখুঁত করার চেষ্টায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে ফেলবেন।’’
নিউজার্সি-ভিত্তিক সাইকোথেরাপিস্ট অ্যাঞ্জেলা ক্ল্যাক বলেন, ‘‘পারফেকশনিস্ট মানসিকতায় আপনি যখন আপনার লক্ষ্যে পৌঁছান, তখন আপনার পরবর্তী চিন্তা থাকে শুধু, এর পরে কী আসবে? সেই বিষয়ে।’’
পারফেকশনিস্টরা তাদের প্রতিযোগীদের দিকে তাকিয়ে আরও পরিশীলিত, আরও নিখুঁত হতে চায়। যার ফলে, তারা কখনই তাদের জয়ের মুহূর্তগুলোও উপভোগ করতে পারেন না।’’
এর ফলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা, অনিদ্রা, ডিপ্রেশনসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। তাই সবার কাছে, সব কাজে পারফেকশনিস্ট হতে যাবেন না। এতে নিজের প্রতি অবহেলা বাড়তে পারে।
আর নিজের প্রতি অবহেলা করার মধ্যে ‘সত্যিকার অর্থ ভালো কিছু নেই।’ নিজের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনুন, নিজের যত্ন নিন। সবার আগে, সবকিছুর আগে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিন!
ঢাকা/লিপি