সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আলোচনায় জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি, আওয়ামী লীগের বিচার এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম স্থগিত বিষয়ে দুই দলের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই দলের এই মতবিনিমিয় হয়। এনসিপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াজোঁ প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব। অন্যদিকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী। এনসিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের বিস্তারিত জানানো হয়।

এনসিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি, জুলাই গণহত্যা ও শাপলা হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম স্থগিত বিষয়ে ঐকমত্য হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মানবাধিকার রক্ষায় যেকোনো আধিপত্যের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়।

বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ উদ্দীন মাহাদী ও সংগঠক সানাউল্লাহ খান। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিনিধিদলে দলের আমির ছাড়াও ছিলেন মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, নায়েবে আমির মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, শিক্ষাদীক্ষা সম্পাদক মুফতি ইলিয়াস মাদারীপুরী প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প র

এছাড়াও পড়ুন:

কথায় কথায় রাস্তায় যাবেন, বৃহত্তর দল যদি নামে সংঘর্ষ হবে: আমীর খসরু

বাংলাদেশের মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না, স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে তবে অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘কথায় কথায় আপনি রাস্তায় যাবেন। এখন অন্য দল যদি আবার তার প্রতিবাদে আবার রাস্তায় যায় তাহলে কি হবে সংঘর্ষ হবে না? বৃহত্তর দল বাংলাদেশে যদি রাস্তায় নামে এগুলোর প্রতিবাদে, আমাদের সংঘর্ষ হবে। এইজন্য আমরা কি শেখ হাসিনা বিদায় করেছি?’

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেস কনসালটেন্সি নামে এক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলগুলো ‘অবসেসড’ হয়ে গেছে বলেন আমীর খসরু। কিছু কিছু রাজনীতিবিদদের মধ্যে এ ধরনের মনমানসিকতা ডেভেলপ করে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে যে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে তার বাইরে গিয়ে আবার নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে কিন্তু ঐকমত্যের শ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য হতে হবে।’

প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শনিবার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চালকের আসনে সরকার, সিদ্ধান্তও তাদের দিতে হবে
  • সংস্কার আটকে গেলে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হবে: এনসিপি নেতা আখতার
  • মানুষের পারিবারিক সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য আটকে আছে: আমীর খসরু
  • যে বিষয়গুলো আলোচনাতেই আসে নাই, সেগুলোও ঢুকিয়েছে ঐকমত্য কমিশন: সেলিমা রহমান
  • অন্তর্বর্তী সরকার কেন জবাবদিহির সংস্কৃতি চালু করতে পারল না
  • কথায় কথায় রাস্তায় যাবেন, বৃহত্তর দল যদি নামে সংঘর্ষ হবে: আমীর খসরু
  • নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে কিছু থিঙ্কট্যাংক বলছে, জুলাই সনদে নারী, কৃষক, শ্রমিক নেই: প্রেস সচিব
  • মতৈক্য হবে না, কারণ দলগুলো বিভিন্ন মহলের স্বার্থ দেখে: ফরহাদ মজহার
  • ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: আমীর খসরু
  • ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে