রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ৭১ সদস্যের নির্বাহী কমিটি গঠন
Published: 5th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ৭১ সদস্যের নতুন নির্বাহী কমিটির তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে সভাপতি হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ব্যবসায়ী সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর জোয়ার সাহারার এসএকে মিলনায়তনে এক বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে এই কমিটি নির্বাচিত হয়। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবারের বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সংস্কারকৃত গঠনতন্ত্রও অনুমোদন করা হয়। গঠনতন্ত্রে দলের নামের শুরুতে ‘বাংলাদেশ’ শব্দ যুক্ত ও জাতীয় সমন্বয় কমিটির বদলে জাতীয় কমিটি এবং নির্বাহী কমিটিতে সভাপতি-সেক্রেটারি পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া গঠনতন্ত্রে দলের সব কমিটিতে দ্রুততম সময়ে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত এবং কোনো ছাত্র, যুব ও পেশাজীবী অঙ্গসংগঠন বা প্রবাসে কোনো শাখা না রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
নতুন কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাহবুবুর রহমান। সহসভাপতি হয়েছেন মাহমুদ জামাল, আবদুল্লাহ মহিউদ্দিন, আবদুল জলিল, নাসিমা রহমান, চিনু কবির, সাইদুল খন্দকার ও গোলাম শফিক।
এ ছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল, অর্থ সম্পাদক নাইমুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ছামিউল আলম, মিডিয়া সম্পাদক এহসান আহমেদ, ন্যায়পাল রায়হান কবীরসহ ৭১ জন কমিটিতে রয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত: আলী রীয়াজ
জাতীয় জুলাই সনদ বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং গণভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান–সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চতুর্থ দিনের আলোচনার শেষে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘তাদের সম্মতির জন্য একটি গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। আমরা এটিকে বাস্তবায়নপ্রক্রিয়ার প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, এর আগে ১১, ১৪ ও ১৭ সেপ্টেম্বর তিনটি বৈঠকের পর দলগুলোর পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার জন্য কিছু সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় শেষে আজকের বৈঠকে এসে গণভোট ও সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে দলগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন অবস্থান তৈরি হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত নতুন আইনসভার কাঠামো সম্পর্কেও কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে। আলী রীয়াজ বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে আইনসভা গঠিত হবে, সেটিকে এমন বৈশিষ্ট্য দিতে হবে, যাতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংশোধনগুলো সহজে সম্পন্ন করা যায়। এ বিষয়েও কার্যত রাজনৈতিক দলগুলো একমত।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি জানান, আগে দলগুলোর একাংশ সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার কথা বললেও বর্তমানে অধিকাংশ দলই মনে করছে, এর আর প্রয়োজন না–ও হতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর ‘সহনশীলতা’ ও ‘অবস্থান পরিবর্তনের সাহসিকতা’কে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘তারা দলীয় অবস্থান থেকে সরে এসে জাতীয় ঐক্য তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটা বড় ধরনের অগ্রগতি।’
অগ্রগতির দিকটি সকালেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। প্রধান উপদেষ্টা দ্রুততার সঙ্গে সুপারিশ চূড়ান্ত করার তাগিদ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে