বিসিবির পরিচালক নির্বাচনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ
Published: 7th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, রাতের আধারে ভোটসহ নানা অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। এবার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আসলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক এই অভিযোগ করেছেন।
সাবেক এই ফুটবলার এবারের নির্বাচনে শুরু থেকে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু সরকারি হস্তক্ষেপ থাকায় সরে যান। সমালোচনা মাথায় নিয়েই গতকাল পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। ২৩ জন এসেছেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে। এনএসসি কোটায় আসে আরও ২ জন। কিন্তু পরবর্তীতে একজনকে সরিয়ে নেয়া হয়।
আরো পড়ুন:
সর্বসম্মতিক্রমে বিসিবি সভাপতি আমিনুল
কত ভোটে কারা বিসিবির পরিচালক হলেন
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার কারণে এম ইসফাক আহসানকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় এনএসসি। রীতি অনুযায়ী সরকারের পক্ষের ব্যক্তি কিংবা শীর্ষ মহলের গ্রিন সিগন্যালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই দুই জন পরিচালক ঠিক করে দেন। পতিত স্বৈরাচার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট একজন কিভাবে এই সময়ে ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বেশ।
আমিনুলেরও একই প্রশ্ন। তার দাবি, পছন্দের প্রার্থীকে বোর্ড পরিচালক করতে আর্থিক লেনদেনও হয়েছে, ‘‘সরকারি প্রতিষ্ঠান এনএসসি দ্বারা যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই একজন আওয়ামী লীগ এম.
ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণ এবং বিসিবির নির্বাচনে তার সম্পৃক্ততা নিয়ে আমিনুল কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণ অগ্রহণযোগ্য। বিসিবি সমগ্র বাংলাদেশের, এটি কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। ক্রীড়া উপদেষ্টা কার্যত বিসিবি-কে তার নিজস্ব ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। তিনি এমনকি বলেছেন যে, যেকোনো মূল্যে তিনি বুলবুল ভাইকে সভাপতি করবেন। এই স্বেচ্ছাচারিতা এবং সরাসরি সরকারি হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটপ্রেমী মেনে নেবেন বলে আমি মনে করি না।’’
‘‘আমার প্রধান উদ্বেগ হলো সরকারি হস্তক্ষেপ এবং ক্রীড়া উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ। তার হস্তক্ষেপের প্রতিটি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে। আমি শুনে অবাক হয়েছি যে, ক্রীড়া উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন কাউন্সিলরদেরকে হুমকি দিয়েছেন, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। অনেক কাউন্সিলর আমাকে ফোন করে বলেছেন যে তাদের ডেকে নিয়ে এভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে।’’ - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট আম ন ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শাহরিয়ার কবিরের মুক্তি দাবি ৫ সংগঠনের
কারাবন্দী সাংবাদিক ও লেখক শাহরিয়ার কবিরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং তাঁর নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পাঁচটি সংগঠন।
সংগঠনগুলো হলো সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরাম, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম, ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ ইন জার্মানি, আর্থ সিভিলাইজেশন নেটওয়ার্ক (গ্লোবাল নেটওয়ার্ক), ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স (গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম)।
রোববার একটি যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলো বলেছে, এক বছর ধরে ‘মিথ্যা’ হত্যা মামলায় শাহরিয়ার কবির কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার রক্ষার জন্য নিবেদিত ছিলেন।
কারাগারে শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে ‘অমানবিক আচরণ’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, সম্প্রতি তাঁকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। তিনি নিয়মিত অপমানজনক আচরণ ও মানবেতর পরিবেশের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বন্দী অবস্থায় সাবেক মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হুমায়ুনের মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে, বন্দীদের চিকিৎসা দিতে অবহেলা করলে কী ভয়াবহ ফল হতে পারে। আমরা কারাগারে এ ধরনের আরও মৃত্যু দেখতে চাই না।’