প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন
Published: 8th, October 2025 GMT
গ্রাহকদের জন্য উন্নত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে এবং পরিবর্তনশীল ডিজিটাল যুগের চাহিদা মেটাতে আজ প্রিমিয়ার ব্যাংক তাদের নতুনভাবে সাজানো ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড.
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-স্বতন্ত্র পরিচালক ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র পরিচালক ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক শেখ মোর্শেদ জাহান, স্বতন্ত্র পরিচালক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম নুরুল আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও সৈয়দ আবুল হাশেম এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান এস এম ওয়ালি উল মোরশেদসহ ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উন্নত ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং অধিকতর কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাংকের নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। ডাইনামিক, সুরক্ষিত এবং তথ্যবহুল নতুন ওয়েবসাইটটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন উদ্যোগের অংশ হিসেবে ব্যাংকের বর্তমান এবং সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে একটি ইনফরমেশন হাব হিসেবে কাজ করবে যা ব্যাংকের সব ডিজিটাল এবং নিত্যনতুন পরিষেবায় সমৃদ্ধ থাকবে।
নতুন এই ওয়েবসাইটটি দীর্ঘ গবেষণা, গ্রাহকের মতামত এবং প্রযুক্তিনির্ভর বিনিয়োগের ফল। গ্রাহকের সুবিধা নিশ্চিত করে এখানে আধুনিক, আকর্ষণীয় ও ব্যবহারবান্ধব ডিজাইন আনা হয়েছে। প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
•অসাধারণ ডিজাইন ও ব্যবহার অভিজ্ঞতা (UI/UX): ওয়েবসাইটে এসেছে আধুনিক ভিজ্যুয়াল ডিজাইন এবং উন্নত ইউজার ইন্টারফেস (UI)। উন্নত মোবাইল রেসপন্সিভনেস থাকায় এটি যেকোনো ডিভাইস থেকে সহজে ব্যবহার করা যায়, যা ব্যাংকিং সেবাকে করেছে ‘যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে’ অ্যাক্সেসযোগ্য।
•সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও গতি: নতুন.BANK ডোমেইনে স্থানান্তর অনলাইন লেনদেনের নিরাপত্তা আরও সমৃদ্ধ করেছে। একইসাথে, পারফরম্যান্স ও স্পিড অপ্টিমাইজেশন এবং SEO অপ্টিমাইজেশন দ্রুত অ্যাক্সেস ও সার্চ ইঞ্জিনে উন্নত প্রযুক্তি নিশ্চিত করে।
•সহজ কার্যকারিতা: গ্রাহকরা সহজেই অ্যাকাউন্টের তথ্য দেখতে পারবেন। এখন ক্রেডিট কার্ড আবেদন, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, পিমানি ও কুইক এক্যাউন্ট সেবাসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্রোডাক্টের সুবিধা নেওয়া আরও সহজ। এখানে প্রিমিয়ার ৩৬০ ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশনও রয়েছে, যেমন ট্যাক্স জমা দেওয়া এবং সহজ ওয়ার্কফ্লো সেবা।
•লোকেটর সার্ভিস: উন্নত ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব দ্রুত নিকটস্থ প্রিমিয়ার ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এটিএম ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট খুঁজে নিতে পারবেন।
ড. আরিফুর রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, “এই ওয়েবসাইট আমাদের উদ্ভাবন এবং গ্রাহকসেবার উৎকর্ষতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের প্রতিফলন। আমরা আমাদের গ্রাহকদের আরও কার্যকর, নিরাপদ ও আধুনিক ব্যাংকিং সলিউশন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নত নিরাপত্তা ও গ্রাহকবান্ধব ডিজাইনের সমন্বয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ ও নিরাপদ।”-বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা/সুমন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ চ ত কর ব যবহ র অন ষ ঠ ড জ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি গাছ কাটায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গ্রামীণ সড়কের পাশের ৩১টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে রেজাউল হাসান ভূঁইয়া ওরফে সুমন (৩৮) নামের এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) মাসকা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান।
অভিযুক্ত রেজাউল হাসান ভূঁইয়া মাসকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। তিনি পিজাহাতি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাসকা ইউনিয়নের দিঘলী–আলমপুর কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য এলজিইডি ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ৪ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ পায় মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে, মাঠপর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছেন বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান ভূঁইয়া।
অভিযোগ উঠেছে, তার নির্দেশেই সড়কের পাশে থাকা ৩১টি সরকারি মেহগনি গাছ কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা টেন্ডার ছাড়াই কেটে ফেলা হয়েছে। গাছগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রেজাউল হাসান ভূঁইয়াসহ অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১৮ নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছগুলো কাটা হয়। এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিজেদের উপজেলা প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে গাছ কাটার কাজ চালিয়ে যায়।
দিঘলী গ্রামের বাসিন্দা জিলু মিয়া বলেছেন, “২৫ বছর আগে আমাদের জমির ধারের রাস্তায় সরকারিভাবে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, বিক্রির সময় আমরাও কিছু অংশ পাব। তাই, এতদিন গাছগুলো দেখাশোনা করেছি। কিন্তু, রাস্তা পাকা করার অজুহাতে ইউএনওর নাম ব্যবহার করে রেজাউল হাসান ভূঁইয়া গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছেন।”
একই গ্রামের সনজু রহমান বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকে গাছ কাটা শুরু হয়। রাতে গাছ সরানোর সময় সন্দেহ হলে আমরা কিছু অংশ আটক করে প্রশাসনকে খবর দিই।”
কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন সরকার বলেছেন, “কোনো নিয়ম অনুসরণ না করেই গাছগুলো কাটা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে বলে শুনেছি।”
অভিযুক্ত রেজাউল হাসান ভূঁইয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেছেন, “ঠিকাদার ইচ্ছামতো গাছ কাটতে পারে না। ইউএনওর নাম ভাঙিয়ে গাছ কাটা বেআইনি। সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মামলাও করা হয়েছে।”
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেছেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/ইবাদ/রফিক