লাকী আলী-জাভেদ আখতারের পুরোনো দ্বন্দ্ব, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য
Published: 11th, November 2025 GMT
ভারতের বরেণ্য গীতিকার ও লেখক জাভেদ আখতারকে নিয়ে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী লাকী আলী। পুরোনো সেই ভিডিও পুনরায় অন্তর্জাল ছড়িয়ে পড়েছে; যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে এই দুই তারকার দ্বন্দ্ব।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে জাভেদ আখতারকে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায়; যা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এরপর লাকী আলী জাভেদ আখতারের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন—“জাভেদ আখতারের মতো হবেন না, তিনি কখনো মৌলিক নন এবং ভীষণ কুৎসিত…।”
আরো পড়ুন:
হাসপাতালে প্রেম চোপড়া
‘প্রযোজক আমাকে লিভ-টুগেদারের প্রস্তাব দেয়’
লাকী আলীর মন্তব্যের ব্যাপারটি জাভেদ আখতারেরও নজরে এসেছে। কয়েক দিন আগে ইন্ডিয়া টুডে-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জাভেদ আখতার। এ আলাপচারিতায় লাকী আলীর মন্তব্যের জবাবে জাভেদ আখতার বলেন, “লাকি আলীর মতামতকে এক চিমটি লবণ মেখে গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই আমি এটি মেনে নেব। যদিও আমি এর সঙ্গে একমত নই। তার মতামত জানতে পেরে আমি আনন্দিত।”
পুরোনো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন লাকী আলী। পরে দায়সারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাকী আলী লেখেন, “আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম, অহংকারই কুৎসিত। আমার বক্তব্য ভুলভাবে ছড়িয়েছিল। সম্ভবত দানবদেরও অনুভূতি আছে। আমি যদি কারো ‘দানবীয়’ মনোভাবকে আঘাত করে থাকি, তবে দুঃখিত।”
লাকী আলীর ক্ষমাপ্রার্থনার ব্যাপারটি নিয়েও জাভেদ আখতারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতার বলেন, “সে কী বোঝাতে চেয়েছে বা কী করতে চায়, সেটা তাকে ঠিক করতে দিন। আপনি যদি সহনশীল হন, সেটা ভালো। কিন্তু যদি সংবেদনশীল বিষয়ে অসহনশীল হন, বিশেষ করে ধর্মীয় বিষয়ে, তাহলে সেটা ভালো নয়। আপনাকে সহনশীল হতে হবে। আপনার যদি নিজের মতামত রাখতে চান এবং অন্যদের সেটি শোনাতে চান, তাহলে আপনাকে অন্যের মতামত শোনার মানসিকতাও রাখতে হবে; যদিও সেই মতামত নিয়ে আপনার দ্বিমত থাকতে পারে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র জ ভ দ আখত র র র মত মত
এছাড়াও পড়ুন:
কপ-৩০ সম্মেলনের আগেই শাহবাগে টেকসই অর্থায়নের দাবি
কপ-৩০ সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থায়নের দাবি জানাতে এক ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবকদের নিয়ে ‘ফেয়ার ফাইন্যান্স নাও: বাংলাদেশ’স কল বিফোর কপ৩০’ শীর্ষক এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সেমিনার
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্রোগ্রামটি যৌথভাবে আয়োজন করে ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক বাজেট মুভমেন্ট। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল প্রচেষ্টা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, আমরাই আগামী এবং শাওন মাইম একাডেমি।
ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা প্রদর্শনী এবং মাইম পরিবেশনার মাধ্যমে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিবেশ ও সমাজে প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা হয়। যুব অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও সৃজনশীল বার্তার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতার পক্ষে সচেতনতা তৈরি করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়নপথে যেতে বছরে ১২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে দেশটি এর কম ১১ শতাংশ অর্থায়ন পাচ্ছে। ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামো না থাকলে জলবায়ু অভিযোজনের দায় ও ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর।
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর মোসলে উদ্দিন সূচক গণমাধ্যমে বলেন, “জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দান নয়- এটি ন্যায্যতার প্রশ্ন। যে সঙ্কট বাংলাদেশ তৈরি করেনি, তার আর্থিক ঝুঁকি বহন করে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই অর্থায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করা এবং কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশে জন্য সহজলভ্য, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নের দাবিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরা।”
অনুষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাত, এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানের মাধ্যমে শেষ করা হয়, যাতে বাংলাদেশ একটি ন্যায্য, সহনশীল এবং টেকসই অর্থনীতির পথে অগ্রসর হতে পারে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী