রমজান উপলক্ষে ১০ পণ্যের আমদানিতে নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দে
Published: 11th, November 2025 GMT
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নিখোঁজ
বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করতে পারে: বাংলাদেশ ব্যাংক
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর-এই ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। এ নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। তাই আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখা ও মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রমজান মৌসুমে কিছু ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশনা ছিল। পরে আমদানি পরিস্থিতি ও বাজারের চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সেই হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়, যা সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পণ য নগদ ম র জ ন আমদ ন রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যালট ছাপাতে কেপিএম থেকে ৯১৪ মেট্রিক টন কাগজ কিনছে ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার ছাপাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত বিসিআইসির কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলি পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ মেট্রিক টন কাগজ কিনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কাগজের দাম প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে ১৭৮ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ৭৩৬ মেট্রিক টন কাগজ ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
মনোনয়ন বাতিল না করলে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন বিএনপির টিপু
শেরপুরে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ
তিনি জানিয়েছেন, চলতি ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশন থেকে রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামী সালফেট কাগজ মিলে মোট ৯১৪.০০৯ মে. টন কাগজের অর্ডার পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশন ছাড়াও বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়, কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ২ হাজার ৮৯৪ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহের আদেশ পাওয়া গেছে। এসবের বাজার মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। গত শনিবার পর্যন্ত কাগজ বিক্রি হয়েছে ৯২৩ মেট্রিক টন।
ঢাকা/শংকর/রফিক