দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

দিল্লির লাল কেল্লার কাছে মেট্রো পার্কিং লটে সোমবার গাড়ি বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন নিহত হয়।  বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে পুলিশ। তার নাম মোহাম্মদ উমর, ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সিসিটিভির ফুটেজ থেকে তার ছবি ও তদন্তে পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে দিল্লি পুলিশ। 

কী কারণে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিও ঘটনার তদন্তে চালাচ্ছে। ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ, তা নিয়ে দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। 

মঙ্গলবার যাদের আটকের খবর জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে উমরও ছিলেন। অপর দুজন হচ্ছেন- মুজাম্মিল শাকিল ও শাহীন শহীদ। মুজাম্মিল ও উমর কাশ্মীরের এবং শাহীন লখনউয়ের, এবং তিনজনই ফরিদাবাদ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।

ফরিদাবাদে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের তদন্তের সময় মুজাম্মিলের নাম উঠে আসে। ফরিদাবাদে মুজাম্মিলের ভাড়া করা দুটি কক্ষ থেকে বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি উপকরণ এবং অন্যান্য সন্দেহজনক জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাস্তবে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা সত্ত্বেও তিনি এই কক্ষগুলো ভাড়া নিয়েছিলেন।

এই দুটি কক্ষ ছাড়াও, আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাম্মিলের সহকর্মীর গাড়ি থেকে অ্যাসল্ট রাইফেল এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এই সহকর্মীর নাম শাহীন শহীদ।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফর দ ব দ তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় দিনদুপুরে সাংবাদিককে কোপাল দুর্বৃত্তরা

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় এক সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই সাংবাদিকের সঙ্গে থাকা তাঁর এক সহকর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও অস্ত্র দেখিয়ে ধাওয়া করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর তেরিবাজার ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত লুৎফুজ্জামান আলিফ ফকির বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপসী বাংলার নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা একটার দিকে লুৎফুজ্জামান ও তাঁর সহকর্মী শাহজাহান শেখ দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী পার হতে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে করে নদীর তেরিবাজার ঘাটে নামেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ব্যক্তি সেখানে আসেন। তাঁদের মধ্যে দুজন চাপাতি হাতে নিয়ে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে তাঁর দুই হাত, পিঠ ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। সঙ্গে থাকা শাহজাহান শেখ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন লুৎফুজ্জামানকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।  

দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালভিয়া শেহরিন বলেন, ওই সাংবাদিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্বৃত্তদের কোপে তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

শাহজাহান শেখ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোটরসাইকেল থেকে নামার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই চার দুর্বৃত্ত আমাদের ঘিরে ফেলে। দুজন চাপাতি হাতে নিয়ে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাঁর বাঁ হাতের আঙুল, ডান হাতের রগ কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে। তাঁর ধারণা, সংবাদ প্রকাশের জেরে দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে।’

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি শোনার পরই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনায় দিনদুপুরে সাংবাদিককে কোপাল দুর্বৃত্তরা
  • গিরিয়া হাঁস ও কুড়া ইগলের গল্প
  • বিদায় গামিনি…