গাইবান্ধার সাঘাটায় হতাশার কথা উল্লেখ করে ফেসবুকে   স্ট্যাটাস দেওয়ার পর বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন মানিক সরকার (২৬) নামের এক যুবক। 

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের উত্তর উল্যাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  মানিক সরকার ওই গ্রামের মনোজ সরকারের ছেলে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন। 

আত্মহত্যার আগে মানিক সরকার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, “আজ নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে, খুব একা একাও লাগছে। নিজের ভাগ্যের প্রতি ভীষণ অভিযোগ রয়েছে, তবু বাস্তবতাটা তো মেনে নিতেই হবে…। বিগত ৩-৪ বছর ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে। কষ্টের পরিমাণ বোঝাতে পারবো না। এত কষ্টের চেয়ে মৃত্যু সহজ মনে হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করে দিও মা, তোমাদের জন্য কিছু করতে পারলাম না।”

মানিক সরকারের বড় ভাই সুজন কুমার সরকার জানিয়েছেন, গতকাল রাত ২টার দিকে মানিক সরকার ঘর থেকে বের হন। ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় আমরা তাকে খুঁজতে বের হই। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির অদূরে আমগাছের নিচে তাকে নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমার মা চিৎকার দিয়ে ওঠেন। পরে দ্রুত তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি না হওয়া মানিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। এ কারণে সে বিষপান করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

‎সাঘাটা থানার ওসি মনির হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানিক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ঘটনাটি অপমৃত্যু হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

ঢাকা/‎মাসুম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি-জামায়াত দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে: মজিবুর রহমান

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, দুটি রাজনৈতিক দলের ভোট এবং কর্মী বেশি। এই অহংকারে তারা দেশকে জিম্মি করে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

বিএনপি-জামায়াতসহ পুরোনো দলগুলো দেশকে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন মজিবুর রহমান। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই দুই রাজনৈতিক দলের অহংকার চূর্ণ করে দিতে জনগণের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

আজ মঙ্গলবার এবি পার্টির ডেমরা থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু। মতবিনিময় সভাটি সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি ঢাকা-৫ আসনে এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান আব্বাসীকে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

সংঘাতমুখী রাজনীতিকে না বলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনতার পর থেকে দেশকে সংঘাত ও বিভেদের রাজনীতি উপহার দিয়েছে। তারা জাতিকে বিভক্ত করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সেই পুরোনো সংঘাতমুখী বিভেদের রাজনীতি আর দেখতে চায় না।

ব্যক্তিনির্ভর রাজনীতি থেকেই স্বৈরাচার জন্ম নেয় উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ব্যক্তির যখন পতন ঘটে, তখন পুরো দলের পতন হয়। কিন্তু এবি পার্টি কোনো ব্যক্তিনির্ভর দল নয়। তারা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়তে চাই, যেখানে কেউ ফুটপাতে কুকুরের সঙ্গে ঘুমাতে বাধ্য হবে না। জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনই এবি পার্টির লক্ষ্য।’

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব বারকাজ নাসির আহমদ, কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক আজিজা সুলতানা, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ এবং কেন্দ্রীয় জুলাই গণ–অভ্যুত্থানবিষয়ক সহসম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক সুলতান আরিফসহ দলীয় নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ